দুর্গাপুজোর বিসর্জনে মালবাজারে হড়পা বানে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। সামনে রয়েছে কালীপুজো এবং ছট পুজো। ফলে কোনওভাবেই যাতে মালবাজারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তারজন্য তৎপর রাজ্য সরকার। তাই কালীপুজোয় প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রতিটি জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। একইসঙ্গে আগামী ২৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চার দিন কালীপুজোর বিসর্জনের সময় বেঁধে দিল স্বরাষ্ট্র দফতর।
কালীপুজোয় শিয়ালদা থেকে চলবে একগুচ্ছ অতিরিক্ত লোকাল - কখন, কোন ট্রেন ছাড়বে?
কালীপুজোর বিসর্জনে যাতে কোনওধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রত্যেকটি জেলার এসপি, ডিআইজি এবং আইজি পদমর্যাদার আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ঘাটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। বিসর্জনের সময় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার আধিকারিকদের। এছাড়া, বিপর্যয় মোকাবেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব।
পাশাপাশি এর আগে কালীপুজোর বিসর্জন এবং ছট পুজোর সময় ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, বিসর্জনের সময় এবার ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। ছট পুজোতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জেলাগুলিকে সতর্ক করা হল। সেচ দফতরের আধিকারিকদের কন্ট্রোল রুম খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। যাতে হড়পা বান এলে নজরদারি চালানো যায় সে বিষয়ে সেচ দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে।