বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজোর আয়োদনে যখন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তৎপরতা তুঙ্গে তখন বুধবারই পুজো হয়ে গেল একটি স্কুলে। অভিভাবকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ছুটি কাটাতে বুধবার কর্মদিবসে পঠনপাঠন মাথায় তুলে সরস্বতী পুজো সেরে ফেলেছেন শিক্ষকরা। নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থনে যদিও এক নিনজা যুক্তি হাজির করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বুধবার হুগলির ধনেখালির বাগনান ভদ্রকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হয়। রং বেরঙের পোশাক পরে হাজির ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। ছিলেন শিক্ষকরাও। ভক্তিভরে অঞ্জলিও দেন সবাই। এর পর চলে প্রসাদ বিতরণের পালা। ওদিকে বুধবারই স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়ে গিয়েছে শুনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার নিখাদ ছুটি কাটাতে তিথি না মেনে বুধবারই পুজোর ঝামেলা মিটিয়ে রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কার অনুমতিতে পুজো হয়েছে তা জানতে চান তাঁরা।
প্রধান শিক্ষক রঘুনাথ মালিকের দাবি, পুজো হয়েছে স্কুলের ক্যালেন্ডার মেনে। স্কুলের ক্যালেন্ডারে বুধবারই সরস্বতী পুজো বলে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া পুজো করার আগে জেলা স্কুল পরিদর্শককে ফোন করেছি। তিনি বলেন, আয়োজন যখন করে ফেলেছেন তাহলে পুজো করেই ফেলুন। যদিও অনুমতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) গৌরব মিশ্র। তিনি বলেন, একটা স্কুলকে আলাদা ভাবে অনুমতি দেওয়া যায় না কি? আমাকে সরকারি ক্যালেন্ডার মেনে চলতে হয়।
অভিভাবকদেরও প্রশ্ন, স্কুলের ক্যালেন্ডার মানে কী? স্কুলকে ক্যালেন্ডার বানানোর অধিকার কে দিয়েছে? পরিকল্পনা করে বুধবার পুজো করে বৃহস্পতিবার স্কুলে না আসার ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, ‘শিক্ষা দফতরকে ব্যাপারটা জানিয়েছি।’