গত ২০ মার্চ শহরের ওই বিলাসবহুল হোটেলে দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুই নাবালিকার সঙ্গে হোটেলে ঢুকে যায় অভিযুক্ত যুবক সাগর ছেত্রী।
শিলিগুড়ি ধর্ষণকাণ্ডে হোটেলের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও হোটেলে গ্রাহককে প্রবেশ করতে গেলে সে ক্ষেত্রে তার নাম, ঠিকানা, এমনকি সচিত্র পরিচয় পত্র জমা নেওয়া হয়। তারপর হোটেল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে সেই তথ্য সাইবার সেলকে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। কিন্তু, শিলিগুড়ি ধর্ষণকাণ্ডের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেল হওয়া সত্ত্বেও গ্রাহকের নাম ঠিকানা বা সচিত্র পরিচয় পত্র কিছু জমা নেওয়া হয়নি।
গত ২০ মার্চ শহরের ওই বিলাসবহুল হোটেলে দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুই নাবালিকার সঙ্গে হোটেলে ঢুকে যায় অভিযুক্ত যুবক সাগর ছেত্রী। সেক্ষেত্রে তার পরিচয় পত্র জমা নেওয়া বা অন্যান্য নিয়ম হোটেলে কেন মানা হয়নি? সেক্ষেত্রেও পুলিশের গাফিলতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এরকম একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ম মানা হচ্ছে না তারপরেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।ল? যদিও হোটেলের নিয়ম মানা নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে চায়নি।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মাল্লাগুড়ির ওই হোটেলে প্রথমে সাগর ছেত্রী তার প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে তার প্রেমিকার বান্ধবীকে আটকে রাখে এবং সেখানেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। হোটেলের ওপর নজরদারি নিয়ে বিশেষ কিছু জানতে চাননি শিলিগুড়ির কমিশনার আনন্দ শর্মা। অন্যদিকে, শহরের একাধিক হোটেলে মধুচক্রের আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে।