বীরভূমেও করোনার দাপট বাড়ছে। আর তার জের এবার কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। শনিবার কার্যত আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে বোলপুর পুরসভা এলাকায়। এরপর সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া পুর এলাকায় ক্রমাণ্বয়ে কোভিড রুখতে কড়া বিধি আরোপ করা হয়। বিভিন্ন পুর এলাকায় ১০ই জানুয়ারি সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন চালু হচ্ছে। এদিকে শনিবার রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রবিবার দুপুর ১২টা থেকে তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধ রাখতে হবে। এদিকে আচমকা এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জেরে বেকায়দায় পড়ে যায় বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে এই পদক্ষেপ নিতেই হত।
এদিকে এক হোটেলের ম্যানেজারের দাবি, মন্দির যদি খোলা থাকে তবে ভক্তরা থাকবেন কোথায়? সেক্ষেত্রে হোটেল খোলা রাখা দরকার। যদি বন্ধ করতে হয় তবে রেস্তরাঁ ও মন্দির দুটিই বন্ধ রাখা দরকার। তারাপীঠে কোভিড যদি ছড়ায় তবে তো রেস্তরাঁতেও ছড়াতে পারে।আচমকা হোটেল বন্ধ করে দিলে এতজন কর্মী যাবেন কোথায়? হোটেল অ্য়াসোসিয়েশনের সদস্য বিমান চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলা প্রশাসন যে নির্দেশ দিয়েছে আমরা হোটেলগুলিকে জানিয়ে দিচ্ছি। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্দেশ কার্যকরী থাকবে। তবে সকলেরই প্রচন্ড ক্ষতি হয়ে যাবে। ৯০ শতাংশ হোটেলই ব্যাঙ্কের লোনে তৈরি হয়েছে। এত স্টাফের বেতন, ইলেকট্রিক বিল কোথা থেকে আসবে? অন্তত ইএমআই থেকে যদি রেহাই দেয় তবে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।