আচমকাই ভেঙে পড়ল বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের দেড়শো বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ি। সংস্কার চলাকালীন এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। চোখের সামনে বাড়ির একটি অংশ ভেঙে পড়ায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা। যে ঠিকাদারী সংস্থা সংস্কারের কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অপরিকল্পিত কাজের জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে দায়ী করেছেন তাঁরা। তবে বাড়িটি ভেঙে পড়ার পিছনে ইঞ্জিনিয়ারদের যুক্তি অবশ্য অন্য।
২০১৯ সালে বীরসিংহ গ্রামে এসে বিদ্যাসাগরের বাড়িটিকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বাড়িটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সোমবার বিকেলে বাড়িটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বাড়িটি ভেঙে পড়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ঠিকাদারী সংস্থার অপরিকল্পিত কাজের জন্যই বাড়িটির একটা অংশ ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। কোনওরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়াই কীভাবে বাড়িটির একটা অংশ ভেঙে পড়ল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
এদিন বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এই প্রতিনিধি দলে বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব দাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুলক প্রামাণিক ঘটনাস্থলে যায়। যদিও ঘাটালের মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই বাড়ি সংস্কারের কাজে যুক্ত থাকা পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জন মিত্র জানান, ‘মালপত্রের কোনও ক্রুটি ছিল না। ইঁদুর মাটিতে গর্ত করে দেওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’ উল্লেখ্য, বিদ্যাসাগরের ওই বাড়িটি সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পূর্ত দফতরকে এই সংস্কারের কাজ দেওয়া হয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে এই সংস্কারের কাজের জন্য একটি ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দিয়েছে।