জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্বামীকে না পেয়ে সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া স্ত্রীর পেটে লাথি তৃণমূল নেতার। শিশুসন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বাপি মণ্ডল। সন্তানকে নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন মধুমিতা হালদার নামে ওই গৃহবধূ। তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।
অভিযোগ, সোমবার রাতে জীবনতলার রবীন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা মধুমিতা হালদারের বাড়িতে জানলা ভেঙে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। মধুমিতাদেবীর স্বামীকে খুঁজছিল তারা। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে মধুমিতাদেবীর পেটে লাথি মারে বাপি মণ্ডল নামে এক তৃণমূলকর্মী। এমনকী তাঁর সদ্যোজাতকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
মাস তিনেক আগে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই গৃহবধূ। সিজার করে প্রসব হয় তাঁর। সেখানে দুষ্কৃতীর লাথিতে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। তার মধ্যেই সন্তানকে বাঁচাতে তাকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছুটতে থাকেন। ছুটতে ছুটতে ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়িতে পৌঁছন তিনি। সেখানে বাপি মণ্ডলসহ অন্য দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
মধুমিতাদেবীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে দুষ্কৃতীদের। সঙ্গে তাঁর স্বামীকে কেন খুনের চেষ্টা হয়েছিল তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।