চুরির অপবাদে গৃহবধূকে যৌনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ। অত্যাচারে মৃত্যু হল মহিলার। ঘটনা ভাঙড়ের চিনেপুকুর গ্রামের। ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গ্রাম।
অভিযোগ, শুক্রবার প্রথমে বাড়ি থেকে অন্য কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় মইবুল মোল্লা নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর লোকজন। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগ তোলে মইবুল। অভিযোগ, ঘরে আটকে ৪০ জন লোক মিলে পেটায় মইবুলকে। মারের চোটে প্রাণে বাঁচতে চুরির কথা স্বীকার করে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দেন মহিলার স্বামী।
এর মধ্যে ফের গ্রামে যায় মইবুলের লোকজন এবার গৃহবধূকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে মইবুলের ডেরায় নিয়ে আসে তাঁরা। মৃতের স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী ঝুলিয়ে পেটাতে শুরু করে মইবুলের পোষা দুষ্কৃতীরা। মৃতার দিদি দাবি করেছেন, তাঁর বোনের গোপনাঙ্গে কাঠ ঢুকিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছে। মারের চোটে প্রায় অচৈতন্য ওই গৃবহধূ জল চাইলে তা নিয়েও মশকরা শুরু করে নির্যাতনকারীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ। আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। সেখানে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনায় মইবুলসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী। তিনি বলেন, ‘আমি চুরি করিনি। মিথ্যে কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে প্রথমে মারধর করেছে। তার পর মারধর করেছে আমার স্ত্রীকে। আমি দোষী হলে পুলিশে যেতে পারত।’ দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শনিবার মইবুলের দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। তার ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা।