Missing Incident: দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে উধাও হল তিন সন্তান–সহ গৃহবধূ, কোথায় গেলেন তাঁরা?‌

গৃহবধূ তাঁর তিন নাবালক সন্তানকে নিয়ে স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন। স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন নয়াদিল্লিতে। তাই সোমবার সকালে আসানসোল স্টেশন থেকে উঠেছিলেন দুরন্ত এক্সপ্রেসে। কিন্তু সেই ট্রেন যখন নয়াদিল্লি পৌঁছল তখন সেখানে পাওয়া গেল না গৃহবধূকে। চিরুনি তল্লাশি করেও মেলেনি সন্তান–সহ স্ত্রীকে। আর তাতেই দিশেহারা অবস্থা স্বামীর।ঠিক কী ঘটেছে দুরন্ত এক্সপ্রেসে? এই ট্রেনে চড়ে স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন স্ত্রী জ্যোতি প্রসাদ। তাঁর সঙ্গে ছিল তিন সন্তানও। বিকেল ৪টে পর্যন্ত সব তাঁকে ফোনে পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তাঁর। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মোবাইলে সুইচ অফ মেলে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি পৌঁছয় নয়াদিল্লিতে। জ্যোতি প্রসাদের পরিবারের সদস্যরা নয়াদিল্লির স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে তাঁর স্বামীও ছিলেন। কিন্তু সব যাত্রী চলে গেলেও দেখা মেলেনি সন্তান–সহ জ্যোতিদেবীর। দূরন্ত এক্সপ্রেসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন থেকে এভাবে গৃহবধূর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ঠিক কী জানাচ্ছে রেল? এই ঘটনা চাউর হতেই আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ বলেন, ‘পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’ জ্যোতিদেবীর স্বামী মিথিলেশ প্রসাদ নয়াদিল্লিতে থাকেন। তাঁর বাপের বাড়ি বাংলায়। দিদি থাকেন পাণ্ডবেশ্বর থানার হরিপুর কোলিয়ারি এলাকায়। সন্তানদের নিয়ে তিনি ট্রেনে একাই যাতায়াত করেন। ছট উৎসব উপলক্ষ্যে হরিপুরে দিদির বাড়িতে এসেছিলেন জ্যোতিদেবী। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন নাবালক সন্তান। বড় মেয়ে পায়েল কুমারী (৯), ছেলে সাহিল কুমার (৮) এবং ছোট মেয়ে সন্ধ্যা কুমারী (৪)।আর কী জানা যাচ্ছে? মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে নয়াদিল্লিতে পৌঁছয় দূরন্ত এক্সপ্রেস। স্ত্রী ও সন্তানদের নিতে নয়াদিল্লি স্টেশনে হাজির হন মিথিলেশ। এস–৫ কোচে গিয়ে খুঁজতে থাকেন স্ত্রীকে। কোথাও পাওয়া যায়নি স্ত্রী ও সন্তানদের। এমনকী লাগেজের সন্ধানও পাওয়া যায়নি। তখন মিথিলেশ নয়াদিল্লি স্টেশনের জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসানসোল জিআরপির কাছেও অভিযোগ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা রেলের অনলাইন হেল্প ডেস্কেও অভিযোগ জানান। সেখানে জ্যোতিদেবীর ও তাঁর সন্তানদের ছবিও দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও মেলেনি গৃহবধূ ও তাঁর সন্তানদের।