বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > গৃহবধূ ও প্রেমিকের আত্মহত্যা, ভগবানপুর গ্রামের বাবলা গাছে ঝুলন্ত দেহ

গৃহবধূ ও প্রেমিকের আত্মহত্যা, ভগবানপুর গ্রামের বাবলা গাছে ঝুলন্ত দেহ

আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ এবং তাঁর প্রেমিক।

কিন্তু তারপর যে পরিণতি হল তা দেখে শিউরে উঠছেন গ্রামের মানুষজন।

স্বামী–সন্তান নিয়ে ভরা সংসার থাকলেও হৃদয়ের প্রেমকে আটকানো যায়নি। সন্তানের বয়স ৩। তারপরও গ্রামের যুবককে মন দিয়ে ফেলেন গৃহবধূ। সেখান থেকেই তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। এমনকী তাঁরা কাছাকাছি এসেছিলেন বলেও খবর। কিন্তু তারপর যে পরিণতি হল তা দেখে শিউরে উঠছেন গ্রামের মানুষজন। রাতের অন্ধকারে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ এবং তাঁর প্রেমিক। আর সকালে সেই দৃশ্যই সবার নজরে এল।

ঠিক কী দেখলেন বাসিন্দারা?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, এই গৃহবধুর তিন বছরের সন্তান এবং স্বামী আছে। গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রণয় ঘটে গৃহবধূর। রবিবার দেখা গেল গ্রামের শশ্মানের বাবলা গাছে গৃহবধূর এবং তাঁর প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ। শনিবার রাত থেকে গৃহবধূ নিখোঁজ ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।

এখানে দেখা গিয়েছে, লাল রঙের একটা শাড়িকেই আত্মহত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। শশ্মানের কাছে এসেই এই গটনা ঘটানো হয়েছে। কিন্তু কেউ দেখতে পেলেন না?‌ উঠছে প্রশ্ন। এদিনও শশ্মানে রাত পর্যন্ত মৃতদেহ আসে। বাবলা গাছ থেকে একই শাড়ির দুই প্রান্তে দু’‌জন আত্মঘাতী হয়েছেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহবধূর বাপের বাড়ি বাবিয়া গ্রামে। আর মৃত যুবকের বাড়ি পশ্চিম ঘোষপুরে। দুটো গ্রাম একেবারে পাশাপাশি। এই মৃতদেহ দুটি ঝুলতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে ভগবানপুর থানার পুলিশ।

বন্ধ করুন
Live Score