প্রতিবেশী গৃহবধূর স্নানের সময় কৌশলে নগ্ন ভিডিয়ো করেছিল এক যুবক। মোবাইল বন্দি সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ব্ল্যাকমেল করেছিল যুবক৷ আর এই সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করছিল অভিযুক্ত যুবক৷ লোকলজ্জার ভয়ে আড়াই বছর ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে পারেনি গৃহবধূ। অথচ সহ্য করতে হয়েছিল যৌন অত্যাচার। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল গৃহবধূর৷ সব কথা বললেন স্বামীকে৷ আর দ্বারস্থ হলেন থানায়৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীঘরে দিন কাটছে ধর্ষকের৷
ঠিক কী ঘঠেছে সৈকতনগরীতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, দিঘার পায়া গ্রামে গৃহবধূর স্নানের নগ্ন দৃশ্য মোবাইলে বন্দি করেছিল যুবক। আর তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ওই গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে যুবক। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন। আর পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেন কাঁথি আদালতের বিচারক।
নগ্ন স্নানের দৃশ্য যুবকের মোবাইলে এল কী করে? পুলিশ সূত্রে খবর, দিঘা পায়া গ্রামের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের যাতায়াত ছিল এই বাড়িতে৷ নানা কাজের জন্য এই যুবকের যাতায়াত ছিল। এই সুযোগে একদিন যুবক ওই বাড়িতে চুকে দেখেন বাথরুমের দরজা খোলা। স্নান করছেন গৃহবধূ। বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকলেও তা ভিতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল না। তাই ঢুকে পড়েছিল ওই যুবক। তারপর মোবাইলে গৃহবধূর নগ্ন স্নানের দৃশ্য ভিডিয়ো করে অভিযুক্ত। এরপর সেটা দেখিয়েই চলে যৌন অত্যাচার।
ঠিক কী অভিযোগ করেছেন গৃহবধূ? নির্যাতিতা গৃহবধূর পুলিশের কাছে অভিযোগ, ‘ওই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছে তা বুঝতে পারিনি। হঠাৎ একদিন এসে দুপুরে জড়িয়ে ধরল। আমি ছাড়বার চেষ্টা করতেই ওই ভিডিও আমাকে দেখানো হয়। আর তারপর লাগাতার আমাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ওর চাহিদা বাড়ছিল৷ শরীর ভোগের পাশাপাশি সোনার গহনা, নগদ টাকাও জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল৷ ফের ২৮ মার্চ বাড়িতে হাজির হয়৷ একপ্রকার জোর করেই আমাকে ধর্ষণ করে৷ গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়৷ এরপরই আমি স্বামীকে সব কথা বলি৷’