দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে জেলায় গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গেল। রাস্তার পাশে বসেছিলেন এক মহিলা। আর তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই মহিলাকে জোর করে একটি টোটোয় তোলা হয়। তারপর একটি নির্জন এলাকার গলিতে নিয়ে গিয়ে ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে। শহরের পারাপুকুরের একটি গলিতে মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবাহিত এই মহিলা স্বামীর খোঁজে এখানে এসেছিলেন। কিন্তু খোঁজ না পেয়ে তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন। যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন ৬ জন যুবক এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে এবং টোটোতে তুলে নিয়ে অন্ধকার নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তখনই তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তারপর ওই নির্জন জায়গায় পৌঁছে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে টোটোকে চিহ্নিত করা হয়। টোটো চালক এবং আর একজনকে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি চারজন পলাতক। খোঁজ চলছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, এই নির্যাতিতা মহিলা থাকেন গলসিতে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বর্ধমান শহরে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, স্বামী শহরের বাড়িতে আছেন কি না সেই খোঁজ নিতে তিনি বৃহস্পতিবার বর্ধমানে আসেন। কিন্তু স্বামীর খোঁজ না পেয়ে তিনি রাতে শহরের পুরভবনের উল্টোদিকে একটি জায়গায় বসেছিলেন। যদি কোনও যানবাহন পান ফিরে যাবেন। রাত দেড়টা নাগাদ ৬ জন যুবক তাঁকে জোর করে টোটোয় তুলে পারাপুকুরের একটি গলির ভিতরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
এই গোটা ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন শুক্রবার ভোরে স্থানীয় দু’জনের সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তদন্তে নামে পুলিশ। তারপর সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শহরের রেল কলোনি থেকে টোটোচালক অশোক দাস ও অশোক ঠাকুর নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।