চার বছর আগে বিয়ে হয়েছে। প্রথমের দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। বিপত্তি ঘটল গৃহবধূর দাদা বিজেপিতে যোগ দিতেই। এমতাবস্থায় গৃহবধূর ওপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূর মায়ের বাড়ির লোকেরা।
গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রের খবর, ৪ বছর আগে ওই গৃহবধূ সোমা হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দিলীপ দাসের ভাইপো চিরঞ্জিত দাসের সঙ্গে। প্রথমের দিকে ঠিকই ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সোমার দাদা বিজেপিতে যোগ দিতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, এরপর থেকেই সোমাকে মারধর শুরু করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে সোমার শ্বশুর বাড়িতে আসেন তার মায়ের বাড়ির সদস্যরা। কিন্তু সমস্যার সমাধান তো হয়নি উল্টে বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। কোনও ভাবে পালিয়ে বাঁচেন তারা। এরপরেও একাধিবার তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
সোমার বাবার কথায়, বিয়ের পরেই মেয়ের ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হত। বিজেপিতে যোগদানের পরে আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার দ্বিগুণ করে দেয়। আমরা এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এই অভিযোগের পরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয় যে আইন আইনের পথে চলবে।