কন্যা সন্তান হয়েছিল গৃহবধুর। কিন্তু, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তা মেনে নেয়নি। ফলস্বরূপ গৃহবধূর ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার। গুরুতর অবস্থায় ওই গৃহবধূকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনার সমুদ্রগড়ের আদর্শপল্লী এলাকার। এই ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধূর নাম তাসলিমা বিবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাসলিমার সঙ্গে মুনজিল মণ্ডলের বিয়ে হয়েছিল আট বছর আগে। তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। অভিযোগ, তারপর থেকেই নানা বাহানায় তাসলিমার উপর অত্যাচার চালাতেন তার স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি। তবুও মুখ বুজে শ্বশুরবাড়ির সে অত্যাচার তিনি সহ্য করেই যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার তিনি সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে নিজের অন্তঃসত্ত্বা বোনকে দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার পরে তার ওপর পাশবিক অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় কালনা হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, তাসলিমা বিবি মাথায় এবং পেটে গুরুতর চোট পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় তাসলিমার পরিবার শশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তাসলিমার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাসলিমা জানান, বিয়ের পর থেকেই তার উপর অত্যাচার করা হত। তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা প্রথম থেকেই চাইছিল না যে তার কোনও সন্তান হোক। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে তার স্বামীও তাকে অত্যাচার করত বলে তাসলিমা জানিয়েছেন। মহিলার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মেয়ের উপর অত্যাচার করা হত। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকে সেই অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তসলিমার পরিবার।