বাল্যবন্ধুর সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেনা। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কালনার নিচু জাপট এলাকায়। নিহত পায়েল হালদারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ৪ অগাস্ট ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে এক বাল্যবন্ধুর সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন পায়েলদেবী। এর পর শুরু হয় দাম্পত্যকলহ। পায়েলের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হয় বলে দাবি নিহতের পরিবারের। বুধবার বিকেলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁর স্বামী অভিজিৎ বর্মন। তার পর তাঁর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১০ বছরের দাম্পত্য পায়েল ও অভিজিতের। কালনার বড় ঘড়ি এলাকায় পায়েলের বাপের বাড়ি। অভিজিতের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক পরিণয়ে পরিণত হয়েছিল। দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কালনার নামি বেকারির মালিক অভিজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে মাঝেমাঝেই রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন। সেখানে গিয়ে পায়েলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর এক বাল্যবন্ধুর। সপরিবারে সেখানে সেলফি তোলেন তাঁরা।
গত ৪ অগাস্ট ফ্রেইন্ডশিপ ডে-তে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন পায়েল। এর পরই স্বামী স্ত্রীর বিবাদ শুরু হয়। ক্রমশ তা চরম আকার নেয়। এর পর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অভিজিৎ। এই মর্মে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত বধূর বাপের বাড়ির লোকেরা।
মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, দাম্পত্যকলহের জেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পায়েল। নিহতের বোনের দাবি, তাঁকেও অকথ্য গালিগালাজ করেছেন পায়েলের স্বামী অভিজিৎ।
মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী পলাকত। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।