নিজের ১০ মাসের দুধের শিশুকে ফেলে রেখে ফেসবুকে আলাপ হওয়া বন্ধুর সঙ্গে ঘর ছাড়লেন নন্দকুমারের রাজনগর গ্রামের গৃহবধূ। ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। তাঁর বাপেরবাড়ি কলকাতার পাতিপুকুরে। নিখোঁজ গৃহবধূর মা তাঁর জামাইকে সঙ্গে নিয়ে নন্দকুমার থানায় মিসিং ডায়েরি করেছেন। দু’দিন কেটে গেলেও এখনও ওই গৃহবধূর খোঁজ মেলেনি।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? নন্দকুমার থানার ওসি মনোজকুমার ঝা বলেন, ‘ওই গৃহবধূর ১০ মাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। সন্তানকে বাড়িতে রেখে তিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। থানায় মিসিং ডায়েরি হওয়ায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’ আর পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর স্বামী নিমতৌড়িতে একটি বইয়ের দোকানে কাজ করেন। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে ফেরেন। সেই সুযোগে তাঁর স্ত্রী ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে প্রায়ই গল্প করতেন। অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসত।
ঠিক কী ঘটেছে তমলুকে? স্থানীয় সূত্রে খবর, রোজকার মতোই স্বামী নিমতৌড়িতে বইয়ের দোকানে কাজে চলে যান। তারপর সকালে বাড়িতে বাচ্চাকে রেখে ওই গৃহবধূ ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বের হন। আর ফেরেননি। সমস্ত আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি। তখন স্বামীর সন্দেহ হয়, ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী চম্পট দিয়েছেন। বাড়িতে ১০ মাসের দুধের শিশু পড়ে আছে। তিন বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ফেসবুক থেকেই এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিচয় হয়। তারপর সম্পর্ক পাকাপোক্ত হতেই ঘর ছাড়েন গৃহবধূ।
আর কী জানা যাচ্ছে? নন্দকুমার থানা এলাকা থেকে গত তিনমাসে বেশ কয়েকজন গৃহবধূ সংসার ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নেপাল সীমান্তে উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন। ওই গৃহবধূ আর বাড়ি ফিরবেন না বলে পুলিশকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। আর এক গৃহবধূ প্রেমিকের হাত ধরে চলে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন থানার অভিযোগ জানিয়েছেন। এবার তমলুকে ঘটল আর এক গৃহবধূর চম্পট দেওয়ার ঘটনা।