নেশার টাকা না পেয়ে সন্তানের সামনে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের। অভিযুক্ত শম্ভু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত রিনা মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে জগদ্দল থানার পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নেশার টাকার জন্য প্রায় রোজই রিনাকে মারধর করত শম্ভু। সোমবার সকাল থেকেই বাড়িতে অশান্তি চলছিল। বিকেলে সাত বছরের ছেলের সামনে রিনাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে সে। তার পর আত্মহত্যার গল্প সাজাতে দেহ ঝুলিয়ে দেয়। এর পর চিৎকার শুরু করে।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে রিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর বাবার কীর্তি ফাঁস করে দেয় ৭ বছরের ছেলে। দেহ উদ্ধার করে শম্ভুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত বধূর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রিনাকে প্রায়ই মারধর করতেন শম্ভু। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে ৫,০০০ টাকা দেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু তার পরও অত্যাচার থামেনি। এমনকী রিনার শাশুড়িও ওকে মারধর করত। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।
বলে রাখি, দিনকয়েক আগেই জগদ্দল থানা এলাকার শ্যামনগরের শান্তিগড়ে বধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল কারখানার এক কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাতেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে স্ত্রীর অন্তঃসস্ত্বা দেহ জলের ট্যাঙ্কে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে স্বামী আবির পুরকাইতের বিরুদ্ধে।