আজকাল তাঁর 'লুকস'-টা দেখে অনেকটা অনুরাগ কাশ্যপের বিখ্যাত বলিউড ছবি ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’-র মনোজ বাজপেয়ীর মতো লাগে। সর্দার খান নাম ছিল চরিত্রটার। সেই আইকনিক চরিত্রের চেহারার সঙ্গে এক অদ্ভুত সাদৃশ্য তাঁর চেহারায়। বলিউডি হিরোর মতো ছিপছিপে মেদহীন না হলেও নাদুসনুদুস ভাবটা কম। আগের স্থুলতা কমেছে। মুন্ডিত মাথায় ঝিরিঝিরি কালো চুল (ষাট পেরিয়েও এই কুচকুচে কালো চুল রাখার রহস্যটা কখনো সাহস করে জিজ্ঞাসা করেনি কেউ)। তাঁর সিগনেচার স্টাইল স্টেটমেন্ট 'সাদা শার্ট- সাদা প্যান্ট'। বাঁ-হাতের মণিবন্ধে বহুমূল্য দামি বিদেশি ঘড়ি। সেটাও জামা প্যান্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুধ সাদা। পায়ের জুতো থেকে বহুমূল্য গাড়ি সবটাই সাদা। ভাটপাড়া তথা জগদ্দল শিল্পাঞ্চল এই সব কিছুর সঙ্গেই পরিচিত। কেবল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে একটা জায়গায়। এতদিন তিনি ছিলেন শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা৷ বিজয়ীর অদৃশ্য গর্বের মুকুট ছিল তাঁর মাথায়। এখন তিনি বিজিত। পরাজিত। মুকুটহীন!
লেখার শুরুতেই 'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর' ছবির কথা এল, কারণ গত এক দশকে এই ভাটপাড়া জগদ্দল মজদুর লাইনের সন্ত্রাস চলচ্চিত্রের 'ওয়াসেপুর'-কেও হার মানিয়ে দিয়েছে! সত্তর-আশির দশকের বলিউডি ছবিতে যেসব মারকাটারি প্রতিশোধের গল্প দেখাত, যা অনুরাগ কাশ্যপ নির্মিত কালজয়ী ছবিটিতেও ছিল, তা আকছার ঘটে চলে এই চটকলিয়া শহরে!
গত ১৩ নভেম্বর নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ভাটপাড়ায় দিবালোকে যে শ্যুটআউট এবং খুনের ঘটনা ঘটল। অভিযোগ, যিনি খুন হলেন তিনি খুনির দাদাকে খুন করেছিলেন বছরতিনেক আগে। দাদার ঘাতককে খুন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিল। আগেও একবার চেষ্টা করেছিল। তখন ব্যর্থ হয়েছিল। নৈহাটি উপ-নির্বাচনের দিন দাদার ‘খুনিকে’ খুন করতে পেরেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিশোধের স্পৃহা চলতে থাকে নিরন্তর এই মজদুর লাইনে। সিনেমা এখানে হার মেনে যায়। কারণ বাস্তবে সিনেমার চেয়েও অনেক বেশি রূঢ়, রুক্ষ, পুঁতিগন্ধময় এই শিল্পাঞ্চল। যেখানে প্রতিশোধের খুনে লেগে যায় রাজনীতির রং। যেখানে প্রতিটা পদক্ষেপ ফেলতে হয় সন্তর্পণে। আর দশকের পর দশক এই শিল্পাঞ্চলের এক অদ্ভুত চরিত্র হয়ে থেকে যান যিনি, তিনি হলেন অর্জুন সিং। যিনি বুঝতে পারছেন, শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে তিনি ক্রমে মুখ্য চরিত্র থেকে পার্শ্ব চরিত্রে সরে যাচ্ছেন। স্পট লাইটের আলোর বৃত্তটা ক্রমশ সরে যাচ্ছে। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যেনতেন প্রকারে নিজের মুক্তাঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে! আর এই করতে গিয়েই কি, ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ ভুল করে ফেলছেন? মেজাজ হারাচ্ছেন? বিরোধী দলের কর্মীদের অশ্লীল গালাগালি দিয়ে ফেলছেন ক্যামেরার সামনেই! গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভবানী ভবনে সিআইডির কাছে পুরসভায় টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছে! সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে এসে 'রাশিয়ান রাসায়নিক' ছড়িয়ে দেওয়ার তত্ত্ব বলছেন! মাঝে মাঝে এসব শুনে কানে ধাঁধা লাগে। একটা বিভ্রম হয়। যা শুনছি ঠিক শুনছি তো?
মানে, সেই লাল বাংলার লাল মাটিতে 'আমরা ২৩৫, ওরা ৩৫’-র বজ্রনির্ঘোষ যখন শোনা যাচ্ছে সিপিএমের তাবড়-তাবড় নেতাদের মুখে। সেই সিপিএমের ভরা বাজারে ব্যারাকপুরের দোর্দন্ডপ্রতাপ সাংসদ তড়িৎ তোপদার, উত্তর ২৪ পরগণার অবিসংবাদী নেতা সুভাষ চক্রবর্তীদের চোখে চোখ রেখে সিপিএমকে হারিয়ে বিধানসভায় যাওয়া সেদিনের তরুণ তুর্কি অর্জুন সিং, প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে বলছেন, তাঁর গায়ে নাকি রাশিয়ান রাসায়নিক ছড়িয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা! এক বছরের মধ্যে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরে মৃত্যু হতে পারে তাঁর! বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে গোটা শরীরের পরীক্ষা করিয়েছেন। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট কী এসেছে, তা এখনও জানাননি তিনি। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, তাঁর কোনও ক্ষতি হলে দায়ি থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী!
শুনতে-শুনতে মনে হচ্ছিল, তাহলে কি বাহুবলী নেতাও ভয় পাচ্ছেন? কিন্তু বাহুবলীদের তো ভয় পেতে নেই। ভিতরে-ভিতরে রক্তক্ষরণ হলেও সেটা বাইরে প্রকাশ করতে নেই। করলে, সেই ভয় সংক্রামিত হয়ে যায় তাঁর অনুগামীদের মধ্যেও। শিল্পাঞ্চলের পরিচিত লব্জ, ‘লিডার যদি নিজেই ভয় পেয়ে যায়, সেয়ানাদের কি প্রোটেকশন দেবে?’ 'ভয়' জিনিসটা বড্ড সংক্রামক!
বারবার মনে পরে যাচ্ছিল, এই লোকটাকেই তো দেখেছিলাম নিরাপত্তা বলয়কে স্রেফ পাত্তা না দিয়ে হিংসার সময় বিজেপি নেতার দিকে তর্জনী বাগিয়ে তেড়ে যেতে! তখনও তিনি তৃণমূলে! এই লোকটাকেই দেখেছিলাম ২০১৯ সালের জয়ের পরে গোটা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন! কলার তোলা ঔদ্ধত্য, কালো ব্র্যান্ডেড সানগ্লাস, মাথায় গেরুয়া পাগড়ি আর গাড়ির বনেটে উঠে মুষ্ঠিবদ্ধ একটা হাত তুলে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিচ্ছেন ভাইয়াজি! তার সঙ্গে কয়েক শো বাচ্চা বুড়ো জোয়ান! তারপরেই গোটা ব্যারাকপুর জুড়ে প্রবল অশান্তি-বোমাবাজি-সন্ত্রাস! দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল যে এমন ক্ষমতার প্রদর্শন শুধু এই লোকটাকেই মানায়! সেই সন্ত্রাস কবলিত ব্যারাকপুরে নিজের দলের কর্মীদের ঘরে ফেরাতে ছুটে আসতে হয়েছিল স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কী প্রবল দাপট লোকটার!
সেই লোকটাই এমন কুঁকড়ে গেল কীভাবে? 'রাশিয়ান রাসায়নিক' নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে 'খিল্লি' করছে লোকজন। সেটা আদৌ প্রয়োগ হয়েছে কিনা, তা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যাবে হয়ত। কিন্তু 'ভাইয়াজি'-র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে গভীর অন্ধকারে, তা সম্ভবত তিনি নিজেও টের পাচ্ছেন! নৈহাটি বিধানসভা উপ-নির্বাচনই যেমন তার কাছে ছিল ফিরে আসার অ্যাসিড টেস্ট! দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে নৈহাটির হিন্দিভাষী এলাকায় প্রচারও করেছিলেন। ছটপুজোর দিন ঘাটে-ঘাটে গিয়ে ছটপুজোর পূর্ণ্যার্থীদের প্রণাম করেছেন। কারণ টার্গেট ছিল হিন্দিভাষী ভোটাররা। গঙ্গায় ভেসেলে চড়ে দলীয় প্রার্থী কে নিয়ে ঘুরেছেন।
শিল্পাঞ্চলের সবাই জানতেন, বিজেপি প্রার্থী যতোই রূপক মিত্র হোন, আসলে প্রেস্টিজ ফাইট কার সঙ্গে কার? শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে পার্থ ভৌমিক-অর্জুন সিং যুযুধান দুই পক্ষের লড়াই এখন সর্বজনবিদিত। ছয় মাস আগে পার্থ ভৌমিকের কাছে হারের পরে কামব্যাকের সবচেয়ে বড় মঞ্চ ছিল এই উপ-নির্বাচনই। বড় প্লেয়াররা যেমন সবসময় বড় ম্যাচকেই বেছে নেন ক্যামব্যাকের জন্য! এই যেমন বিরাট কোহলি ১৬ মাস বাদে টেস্টে সেঞ্চুরি জন্যর বেছে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পার্থ টেস্টকেই।
কিন্তু কোথায় কী? প্রায় একতরফা খেলা খেলে নৈহাটি উপনির্বাচন প্রায় ৫০,০০০ ভোটে পকেটে ভরে ফেললেন পার্থ ভৌমিক। বহু বুথে এজেন্ট অবধি দিতে পারেনি বিজেপি! চোখে পড়েনি কোনও বিজেপির বুথ ক্যম্পও! যে হিন্দিভাষী ওয়ার্ডগুলোতে ছয় মাসের আগের লোকসভা নির্বাচনে 'লিড' পেয়েছিল বিজেপি, সেখানেও পিছিয়ে পড়েছে৷ যে হিন্দিভাষী মজদুর ভোটব্যাঙ্ক এতদিন 'কোর' ভোটব্যাঙ্ক ছিল অর্জুন সিংয়ের, সেই ভোটেও থাবা বসিয়েছেন পার্থ ভৌমিক!
শহরাঞ্চল হওয়ার ফলে আরজি কর ঘটনারও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল এই বিধানসভায়। কিন্তু ভোটবাক্সে সেসবের কোনও প্রভাবই পড়েনি। সবচেয়ে বড় কথা সংগঠন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার পরে অর্জুন সিং ব্যারাকপুর জুড়ে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেন (রাজনীতির ভাষায় যাকে বলে 'মহল') যাতে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা একটা আলাদা আড্রিনালিন পান। তাঁরাও তাঁদের ‘ভাইয়াজির’ জন্য তেড়েফুঁড়ে ভোটে নামেন। কিন্তু লোকসভায় ব্যারাকপুরের বাহুবলী যে হেরে যেতে পারেন, সেটা বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞও ভাবতে পারেননি। তাই বুথে এজেন্ট দেওয়ার জন্য লোকও এই উপ-নির্বাচনে পায়নি বিজেপি। অনেক বিজেপি কর্মীই অনাগ্রহে সরে আছেন৷ অথবা তৃণমূলে ফেরার জন্য স্থানীয় স্তরে তদ্বির করছেন! শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে ক্ষমতাসীনের সঙ্গে থাকাটা প্রাথমিক শর্ত!
আর এইখানেই যেন আরও একা হয়ে পড়ছেন ‘ভাইয়াজি’। একমাত্র ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে ছাড়া আর কোনও 'হেভিওয়েট' নেতাকে এখন আর তাঁর পাশে দেখা যায় না। এক ভাইপো পাপ্পু সিং ভিকি যাদব খুনের মামলায় অভিযুক্ত। অপর ভাইপো সৌরভ আবার পার্থ ভৌমিকের অনুগামী হয়ে তৃণমূলে। পুত্র পবন বিধায়ক হলেও কোনওদিনই বাবার মতো 'পাওয়ার পলিটিক্সে' আসতে পারেননি। রাজ্য বিজেপির কোনও কমিটিতেও এখনও জায়গা পাননি প্রাক্তন সাংসদ।
এরকম অবস্থায় খানিকটা কি নি:সঙ্গ লাগে ‘ভাইয়াজির’? যে স্তাবক, অনুগামীদের ভিড়টা ক্ষমতার জন্য ভাইয়াজিকে ঘিরে রাখত, সেই ভিড়টাই এখন সরে গিয়েছে। যে সোমনাথ শ্যামকে বারবার 'লোহাচোর' বলে আক্রমণ করেছেন, সেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামই এখন ভাটপাড়া-জগদ্দলের মজদুর লাইনের বেশিরভাগটার নিয়ন্ত্রক! যেসব বাচ্চা ছেলেরা তাঁর সামনে দাঁড়াতেও ভয় পেত, তারাও কোনও এক 'অদৃশ্য শক্তি'-র জোরে তাঁর নিজের এলাকা 'মেঘনা মোড়ে' তাঁর বাড়ির সামনেই তাঁকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে!
এই 'অদৃশ্য শক্তি' যে আসলে পাশের বিধানসভা নৈহাটি থেকে আসে, তা বিলক্ষণ জানেন বাহুবলী নেতা। শিল্পাঞ্চলের রাজনীতির এই ভরকেন্দ্র যে কখন ভাটপাড়া থেকে নৈহাটিতে বদলে গিয়েছে, তা টেরই পাননি প্রাক্তন সাংসদ! অথবা টের পেলেও বুঝতে পারেননি। অথবা বুঝলেও মানতে পারছেন না। এর যে কোনও একটা হতে পারে। রাজনীতি তো আসলেই সম্ভাবনার শিল্প।
'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুরে' সর্দার ওরফে মনোজ বাজপেয়ী শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন। পর্দায় জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি তাঁর চরম প্রতিদ্বন্দ্বী রামাধীর সিংকে যাকে বলে 'কাঁটে কা টক্কর' দিয়ে গিয়েছিলেন। পর্দায় সর্দারের অন্তিম দৃশ্যে বেজেছিল আরও একটি 'আইকনিক' গান। বর্তমানে বিজেপির সাংসদ প্রাক্তন ভোজপুরী সুপারস্টার মনোজ তিওয়ারির 'জিয়ে ও বিহার কে লালা'! ভাটপাড়া কাঁকিনাড়া জগদ্দলের হিন্দিভাষী নাগরিকদের কাছে অর্জুন সিং একটা সময় অবধি ছিলেন নিজেদের 'লালা'-ই। কিন্তু কোথাও গিয়ে যে সেই স্নেহের তারটা কেটে গিয়েছে, তা বোধহয় নিজেও বোঝেন বাহুবলী প্রাক্তন সাংসদ!
ওয়াসেপুর ছবির সর্দার সিং এর একটা সংলাপ খুব বিখ্যাত হয়েছিল, 'ক্যাহ কে লেঙ্গে!’ অর্থাৎ, যা করবেন তা প্রকাশ্যে স্বশব্দে ঘোষণা করে করবেন! লুকিয়ে না! এই ঘোষণার মধ্যে একটা 'ডেয়ারিং' ব্যাপার আছে। একটা বেপরোয়া বোতাম খোলাদর্পের ঘোষণা আছে! করেওছিলেন পর্দার নায়ক। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেছেন, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে খুনের জন্য বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে শার্প শ্যুটার এনে খুনের চক্রান্ত করছেন!
পালটা অর্জুন বলেছেন, সোমনাথ কে মারার জন্য বিহার-উত্তরপ্রদেশ লাগবে না, ভাটপাড়া-জগদ্দলের সাধারণ মানুষই নাকি মারবে! বাস্তবে, অর্জুন সিং কি পারবেন, 'ক্যাহ কে লেঙ্গে' বলে পুনরায় শিল্পাঞ্চলের মসনদে ফিরতে? নাকি মজে যাওয়া শিল্পাঞ্চলে ভূত বাংলোর মতো দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক বন্ধ জুটমিলের ভিতরের নিকষ কালো অন্ধকারের মতোই অর্জুনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও অন্ধকারেই ডুবে যাবে, তা সময়ই বলবে!
(পুরোটাই লেখকের ব্যক্তিগত মতামত, তা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মতামত নয়)।