গরু পাচার মামলায় বারবার ডেকেও সাড়া মিলছিল না তাঁর। এই পরিস্থিতিতে মাঝরাতে বোলপুরে হাজির হয় সিবিআইয়ের বিশাল টিম। তখনই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতিকে বাঁধতে পারে সিবিআই। আর আজ, বৃহস্পতিবার সেই গুঞ্জনই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই গিয়ে তাঁকে হাতকড়া পরাল। বাড়ির ঠাকুর ঘর থেকে খোঁজ মেলে কেষ্টর বলে সূত্রের খবর।
কী ভাবে গ্রেফতার অনুব্রত? সূত্রের খবর, টানটান উত্তেজনা শুরু হয় সিবিআই আধিকারিকদের কনভয় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছতেই। তারপর গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাড়ির বাইরে থাকা পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি সিবিআই অফিসাররা। তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ির ভিতরে ঢুকে অনুব্রত মণ্ডলকে পাওয়া যায়নি। তল্লাশি করতে গিয়ে প্রথমে কালঘাম ছুটে যায় অফিসারদের। তখন বাড়ির পাশে গ্যারেজের গেট গিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই গ্যারেজে বসেই দলীয় কাজকর্ম করেন অনুব্রত। কিন্তু সেখানেও তাঁর দেখা মেলেনি।
তারপর সেখানে কী ঘটল? জানা গিয়েছে, বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে জানতে পেরে দোতলায় চলে গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে গিয়ে প্রথমে তাঁকে খুঁজে পায়নি সিবিআই। পরে নজরে আসে ঠাকুরঘরের দরজা বন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় সেখানে গিয়ে দরজা ঠেলে ঢুকতেই অনুব্রত মণ্ডলকে বসে থাকতে দেখেন। তাঁকে নানা প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি অসযোগিতা করলে গ্রেফতার করা হয়।
সিবিআই কী করতে চাইছে? সূত্রের খবর, বোলপুরের বাড়ি থেকে আসানসোলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। আজই আসানসোল আদালতে তোলা হবে। মনে করা হচ্ছে সিবিআই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবে। সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের তৎপরতা দেখতে সকাল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে উৎসাহী জনতার ভিড় উপচে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা ঢোকার ঘণ্টাখানেক পরই তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।