এবারই প্রথম সরকারি বইমেলার সূচনা হল আসানসোলে। আর সেই বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে আক্ষেপের সুর রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর গলায়। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ থেকে ৯০টি বই লিখেছেন। অথচ নেতা–কর্মীরাই তো তাঁর বই পড়েন না।’
এদিন বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই পড়ার ব্যাপারে সওয়াল করেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী জানান, ‘তৃণমূল নেতা–কর্মীরাই দলনেত্রীর বই পড়েন না।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ থেকে ৯০টি বই লিখেছেন। কিন্তু কতজন সেই বই পড়েছে? তিনি যে তাঁর আক্ষেপের কথা দলনেত্রীকেও বলেছেন, সেকথাও জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি বলেছিলাম, দিদি আপনার নেতারাই সেই বই পড়ে না। আমি আর কাকে কী বলব।’ এদিন আসানসোলের পোলোগ্রাউন্ডে পশ্চিম বর্ধমান পঞ্চম বইমেলার উদ্বোধন হল। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুল্লা ছাড়াও রাজ্যের আরেক মন্ত্রী মলয় ঘটকও হাজির ছিলেন।
এদিন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, ‘৩৫ হাজার দুষ্প্রাপ্য বইকে ডিজিটালাইসড করা হয়েছে। এই জেলায় ৬১টি গ্রন্থাগার রয়েছে। তার মধ্যে অনেক জায়গায় কোনও লাইব্রেরিয়ান নেই। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩৭টি পদে লোক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে সেই পদে নিয়োগ চালু হয়ে যাবে।’ একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে ৭ লাখ ৮৫ হাজারের মতো বই ছিল। তার মধ্যে সাড়ে ৩৮ হাজারের মতো বই আমফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।