আম মানেই সবার আগে যে নামটা মনে আসে সেটা হল মালদা। কিন্তু বাজারে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অন্য জায়গার আমকেও মালদার আম বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ক্রেতার পক্ষে ধরা সম্ভব হয় না সেটা আদৌ মালদার আম কি না। তবে এবার একেবারে মালদার আমকে আলাদা করার জন্য বিশেষ পদ্ধতি নিচ্ছে সরকারের উদ্যান পালন দফতর। এবার মালদার আমের গায়ে কিউআর কোড ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে এই নয়া ব্যবস্থা।
একেবারে অভিনব উদ্যোগ। মালদার আমের গায়ে থাকছে কিউআরকোড। সেটা মোবাইলে স্ক্যান করে নিশ্চিত হয়ে নিন সেই আম মালদার কি না।
এক্ষেত্রে মালদার আমের গায়ে এই কিউ আর কোড যুক্ত করা হচ্ছে। এদিকে মালদার লক্ষণভোগ, ফজলি আর হিমসাগর ইতিমধ্য়েই জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, মালদার রতুয়ার দেবনারায়ণ ঘোষ নামে এক আম চাষি প্রথম আমের গায়ে কিউ আর কোড ব্যবহার করা শুরু করেছেন। উদ্যান পালন দফতরের সহযোগিতায় তিনি এই তিন প্রজাতির আমে এই কিউ আর কোড ব্যবহার করা শুরু করেছেন।
এই কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই আম সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য মিলবে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের আর বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আগামীদিনে উদ্যান পালন দফতরের পরিকল্পনা মালদায় বিপননের জন্য পাঠানো সমস্ত আমেই এই বিশেষ কিউআর কোড দেওয়া থাকবে।
উদ্যানপালন দফতর জানিয়েছে, মালদা আমের জন্য প্রসিদ্ধ। বিদেশের বাজারে ও ভারতের বিভিন্ন বাজারে মালদার আমের একটা আলাদা চাহিদা রয়েছে। এর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই মালদার আমকে আলাদাভাবে বোঝানোর জন্য বেশ কিছু কৃষক এগিয়ে আসছেন। তাঁরা বলছেন কিউ আর কোডের মাধ্য়মে যদি তাঁরা তাঁদের আমটাকে আলাদা করতে পারেন ও তারপরে বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে পারেন তবে তাঁদের লাভ আরও বেশি হবে। হিমসাগর, লক্ষণভোগ ও ফজলি জিআই পেয়েছে। এই জিআই প্রাপ্ত আমকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রতুয়ার ওই কৃষকের উদ্যোগে আমরা কিউআর কোড লাগু করেছি। এবার দিল্লির আম মেলায় মালদার যে আম থাকবে তাতে কিউআর কোড থাকবে। কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই সব জানা যাবে। মোবাইলে এই কিউআর কোড স্ক্যান করে নিতে পারেন। ধাপে ধাপে মালদার সব আমেই এই কিউআর কোড আগামী দিনে থাকবে।