নিয়োগ দুর্নীতির জেরে কার্যত জেরবার অবস্থা সরকারের। তার সঙ্গে অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। একদিকে চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে একের পর এক তৃণমূল নেতার। অন্যদিকে চাকরি করে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন এমন তৃণমূল নেতার নামও সামনে আসছে। এবার কীভাবে সেই টাকা আদায় করবেন তারই উপায় বাতলে দিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। তালডাংরার পথসভা থেকে তিনি কার্যত তৃণমূলকে নিশানা করে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন। কলার ধরে টাকা আদায়ের কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
সুভাষ সরকার বলেন, এই পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা ব্য়বস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। পাশের বাড়িতে কে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছে তা খুঁজে বের করুন। যার কাছে টাকা দিয়েছেন, তার কলার ধরে টাকা আদায় করুন। না হলে থানায় কমপ্লেন করুন বা আমাদের জানান। এবার যাদের চাকরি যাবে তাদেরও বলছি আপনাদের টাকাও গেল, চাকরিও গেল আবার মাইনেও ফেরৎ দিতে হচ্ছে। ছেড়ে কথা বলবেন না। ওদের কাছ থেকে টাকা আদায় করুন। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। লড়াই করুন। নিশ্চিতভাবে আপনারা পারবেন। ভারতীয় জনতা পার্টি আপনাদের সঙ্গে আছে। শোনা যাচ্ছে প্রচুর ভুয়ো শৌচালয় তৈরি হয়েছে। সেই তালিকা আমরা পেয়ে গিয়েছে। সেই তালিকা আমরা সময় মতো পৌঁছে দেব। তারও তদন্ত হবে। ভোকেশনাল এডুকেশনে শিক্ষকদের মাইনে আটকে রেখে দিয়েছেন। আপনাদের ভাঁড়ারে টাকা নেই। সেকারণে আমরা বেতন দেবেন না, এটা হতে পারে না। তাই আগামী দিনে পঞ্চায়েতের লড়াইতে তৃণমূলকে পরাস্ত করব। দাবি বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের।
নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেলে রয়েছে। তার বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি আদালতে জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা বর্তমানে জেলে রয়েছে। এদিকে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কুন্তল ঘোষ নামে সেই যুব তৃণমূল নেতা বর্তমানে জেলে রয়েছে। তবে এবার একেবারে কলার ধরে টাকা আদায়ের পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।