কয়েকদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নারদ খোঁচা দিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। আর এবার পদত্যাগ করলেন হাওড়া জেলা সদরের বিজেপি সম্পাদক বিমল প্রসাদ। জানা গিয়েছে, বিমল প্রসাদ বহিষ্কৃত সুরজিৎ সাহার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই আবহে হাওড়া পুরসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে আদি-নব্যের লড়াই ফের একবার প্রকট হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর তৃণমূলের হয়ে আইপ্যাকের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে সুরজিৎ সাহার সঙ্গে। এই আবহে নিয়ের অনুগামীদের নিয়ে সুরজিৎ তৃণমূলে যোগ দেন কি না, সেটা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কারের পর শূন্যস্থান পূরণে মণিমোহন ভট্টাচার্যকে হাওড়া সদর জেলার আহ্বায়ক নিয়োগ করে বিজেপি। তবে সেই নিয়োগের এক সপ্তাহের মধ্যেই সুরজিৎ ঘনিষ্ঠ বিমল প্রসাদ পদত্যাগ করলেন। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় বহিষ্কার করা হয়েছিল সুরজিৎকে। এই আবহে সুরজিৎকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ দলের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় রাজনৈতিক ভাবে অস্বস্তিতে পড়বে বিজেপি। দলে আদি-নব্যের লড়াইয়ের আবহে শুভেন্দুর নেতৃত্ব নিয়েও উঠতে পারে প্রশ্ন।
এর আগে সুরজিৎবাবু শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, হাওড়া সদরের যে নির্বাচনী কমিটি গঠিত হয়েছে তা তৃণমূলের বি টিম। তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী নিজের লোক নিয়ে এই কমিটি বানিয়েছেন। বিজেপির পুরনো কর্মীরা এই কমিটি মেনে নেবে না। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমি ২৮ বছর ধরে বিজেপি করি। শুভেন্দু অধিকারী ৬ মাস আগে দলে এসেছেন। ওনার কাছে সততার প্রমাণ দেব না।' প্রাথমিক ভাবে তিনি দাবি করে যে তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না। তবে হাওড়া পুর নির্বাচনের আগে নাকি সুরজিৎবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। এই আবহে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিজেপির পদাধিকারীর পদত্যাগে জল্পনা বেড়েছে হাওড়ার রাজনৈতিক মহলে।