বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে নিজে ঘর থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার কামদেবপুর কালীতলায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ কাজল কাঁড়ার (২৩) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করে শ্বশুরবাড়ির সদস্য ও প্রতিবেশীরা। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই মনমরা থাকতেন কাজল। নিজের ঘর থেকে খুব বেশি বেরোতেন না।
নিহতের জা জানিয়েছেন, সকালবেলা রান্নাবান্না শেষে শাশুড়ি কাজলকে ডাকতে দোতলার ঘরে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না দেওয়ায় প্রতিবেশীদের জানান তিনি। এর পর সবাই মিলে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, ৬ মাস আগে দীনেশ সরদারের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল কাজলের। বিয়ের পর থেকেই মনমরা থাকতেন কাজল। নিজের ঘর থেকে খুব বেশি বেরোতেন না। সারাদিন মোবাইল ফোনে মগ্ন থাকতেন। এমনকী আত্মীয়দের বাড়িতেও যেতে চাইতেন না তিনি।
নিহতের জা জানান, দেখা শোনা করে বিয়ে হলেও বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি পছন্দ নয় বলে জানান কাজল। এই নিয়ে কাজলের মায়ের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল। তার জেরেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সরদার পরিবার এলাকায় খুবই সজ্জন হিসাবে পরিচিত। কাজলের সঙ্গে দীনেশের কোনও দাম্পত্য কলহ ছিল বলেও কেউ জানতেন না।
বধূর মৃত্যুর খবর তাঁর বাপের বাড়িতে জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমে বধূর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।