পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ২ ভাইপোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের বাবা। তিনি জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন পারিবারিক বিবাদ চলছিল। তার জেরেই সব্যসাচী মণ্ডল নামে ওই ব্যবসায়ীকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করেছেন ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথ।
শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার দেরিয়াপুরে গ্রামের বাড়িতে খুন হন ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল। তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সব্যসাচীবাবু বর্তমানে হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। পুজোর পর এক বন্ধুকে নিয়ে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ তিনি পৌঁছন দেরিয়াপুরে। তার পর শুরু হয় রান্নাবান্নার তোড়জোড়। সেজন্য সঙ্গে করে রাঁধুনিও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ছাদে রান্নাবান্না চলাকালীন গাড়ির চালক তাঁকে জানান নীচে তাঁকে কেউ ডাকছে। বেশ কিছুক্ষণ সব্যসাচীবাবুর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় যুবককে।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সম্পত্তিবিবাদ দীর্ঘদিনের। সেজন্য এর আগেও আক্রমণ হয়েছে তাঁর ছেলের ওপর। ২০১৬ সালে ঠাকুমা মারা যাওয়ার সময় শ্মশানে সব্যসাচীবাবুকে মারধোর করেছিল তাঁরই খুড়তুতো ভাইরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে সব্যসাচীবাবুর বাবা তাঁর ভাইয়ের পা ধরে ছেলের প্রাণভিক্ষা চান। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার ছোট ভাইয়ের ২ ছেলে দীনবন্ধু ও সোমনাথ সুপারি কিলার দিয়ে আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি পুলিশকে সব জানিয়ে অভিযোগ করেছি।’