ইতিমধ্যেই গ্রামবাংলার বহু বাড়িতে জলের লাইন পৌঁছে গিয়েছে। ২০২৬ সালের আগে সব বাড়িতে তা পৌঁছে যাওয়ার কথা। তেমনই বাংলার মানুষ দিন গুনছে পাইপলাইন দিয়ে কবে সস্তা প্রাকৃতিক গ্যাস আসবে? এই পাইপ দিয়ে গৃহস্থের রান্নাঘরে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস (পিএনজি)। এই গ্যাস পাইপের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে হোটেল–রেস্তোরাঁয় এবং উৎপাদনের কাজে ব্যবহার হবে। আবার সিএনজি হিসেবেও বিক্রি হবে গাড়ির জন্য। এই পাইপ কারখানা এবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে গড়বে করণ পলিমার। সংস্থা সূত্রে খবর, এই পলিথেলিন পাইপ কারখানা গড়ার জন্য ১০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে করণ পলিমার। এই কারখানায় সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ১০০ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এক হাজারেরও বেশি।
এদিকে এই কাজ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের বিরাট উপকার হবে। কারণ এখন বাজারে গ্যাসের দাম মারাত্মক। সেটাই পাইপের মাধ্যমে হেঁসেলে আসবে কম দামে। তাতে পকেটও বাঁচবে। আবার নিরাপদও। এই বিষয়ে করণ পলিমার সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্যামলাল আগরওয়াল জানান, পণ্যের মান অনুমোদন করার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের কাছে নমুনা পাঠিয়েছেন তাঁরা। আগামী চার মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সায় মিলবে। তার পরে কারখানা গড়া হবে। ২০২৫ সালের শেষ দিকে উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ফরমান জারি করল লালবাজার, নির্দেশিকায় কোন কাজে কোপ পড়ল?
অন্যদিকে করণ পলিমার জলের পাইপ তৈরি করে। আর এই পাইপ তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেছে। তাই এবার গ্যাসের পাইপ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিতে চায়। শ্যামলাল আগরওয়াল জানান, হাওড়ার রানিহাটি–আমতা রুটে থাকা জমিতেই প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ তৈরির প্রস্তাবিত কারখানা হবে। এই বিষয়ে শ্যামলাল আগরওয়াল বলেন, ‘আইওসি এবং গেইল প্রাকৃতিক রান্নার গ্যাস সরবরাহের যে পরিকল্পনা করেছে, আমরা তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। গ্যাস দিতে যে পলিথেলিন পাইপ ব্যবহার করা হবে সেটা আমরা তৈরি করব। নতুন প্রকল্পে গ্যাস পাইপ তৈরি এবং একটি গবেষণা ও উন্নয়নের কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। ১০০ কোটি টাকা খরচ করে আমরা যে কারখানাটি গড়ব সেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ কর্মসংস্থান হবে। সরাসরি কাজ পাবেন ১০০ জন।’
এছাড়া এই এলাকায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। গ্যাসের মূল পাইপলাইন বসবে জগদীশপুর থেকে হলদিয়া। প্রকল্পটির নাম উর্জা গঙ্গা। আর এই গ্যাসের মূল পাইপলাইন নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত বসছে। এই কাজ শেষ হলে বাড়ি এবং নানা জায়গায় তা পৌঁছতে পাইপ বসানোর পরিকাঠামো তৈরি হবে। আর গোটা কাজ শেষ করে ওই পাইপে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস পৌঁছে যাবে। তবে এই পরিষেবা শুরু করতে একবছর তো লাগবেই বলে সূত্রের খবর।