হাওড়ার মঙ্গলহাট বাজারে ভয়াবহ আগুন। ভোররাত নাগাদ এই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। হাওড়া ডিভিশনের দমকল অফিসার রঞ্জন কুমার ঘোষ ভোর নাগাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঘটনাস্থলে বর্তমানে ১৮টি অগ্নি নির্বাপক ইঞ্জিন রয়েছে। শীঘ্রই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছেন দমকল কর্তা। এদিকে এই আগুনের জেরে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আতঙ্কে আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষজন বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। আগুন ছড়াতেও থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে একের পর এক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, হাটের দোকানগুলি বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
এদিকে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনও তিনি কিছু বলেননি। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, 'আগুন প্রায় নিভে গিয়েছে। পুরোপুরি যাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তার জন্য মকলের ইঞ্জিন কাজ করছে। আগুন নিভে গেলে তখন আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখব আমরা।' জানা গিয়েছে, মধ্যরাতের পর হাটের পাশে অবস্থিত পুলিশ আবাসনের বাসিন্দাদের চোখে পড়ে আগুন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। সারাতের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো গিয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলের ল্যাডলো বাজারে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। সেই ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫০ টি স্থায়ী অস্থায়ী দোকান। চেঙ্গাইল ষ্টেশন সংলগ্ন বাজারে সেই আগুন লেগেছিল। প্রায় ৪ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল সেবারে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
এদিকে চেঙ্গাইলের আগ্নিকাণ্ডের সপ্তাহ দুয়েক আগেই হাওড়ায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া সাঁকরাইল থানা এলাকার নবঘড়া বাজারে আগুন লেগেছিল। সেই ঘটনায় আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ৮০টি দোকান।