এবার তেতে উঠল হোমিওপ্যাথি কলেজের ক্যাম্পাস। এখানের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বন অভিযোগ উঠে এল। এখানে হোমিওপ্যাথি পড়তে এসে অন্যরকম চাপ অনুভব করছেন ছাত্রছাত্রীরা বলে অভিযোগ। এক অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। ওই অধ্যাপিকা চাপ দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের যে, মোটা টাকা নিয়ে প্রাইভেট টিউশন নিতে হবে। তার জন্য জোর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অধ্যাপিকার এই চাপ সহ্য করতে পারছেন না ছাত্রছাত্রীরা। তাই এবার বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাসেই।
অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রছাত্রীদের তুমুল বিক্ষোভে তপ্ত হয়ে উঠল হোমিওপ্যাথি কলেজের ক্যাম্পাস। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, একদিকে প্রাইভেট টিউশনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে নির্দিষ্ট একটি প্রকাশনীর বই কেনার জন্যও চাপ দিচ্ছেন ওই অধ্যাপিকা। এই পর পর দুটি অভিযোগ অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে তুলে বুধবার রাত থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি কলেজের পড়ুয়ারা। আজ, বৃহস্পতিবার সেই বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, এইসব অভিযোগ খতিয়ে না দেখা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে অনশন। যদিও এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মাধবানন্দ সাহা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মা উড়ালপুলে গতিসীমা লঙ্ঘন ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায়, কলকাতা পুলিশের গাড়িই কোপে
এদিন হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি কলেজের পড়ুয়ারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছেন। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে তা হওয়ায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে কেমন করে বেরনো যায় সেটাই ভাবছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারণ এখন সেখানে অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, এই কলেজের ওই অধ্যাপিকা প্রাইভেট টিউশন নিতে এবং একটি নির্দিষ্ট প্রকাশনীর বই কেনার জন্য পড়ুয়াদের চাপ দিয়ে চলেছেন। ছাত্রছাত্রীরা তাঁর দাবি মানেনি। তাই গতকাল অধ্যাপিকা ক্লাসে এসে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে উঠেছে অভিযোগ। তাই প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। সেটাই এবার বড় আকার পেতে চলেছে।
কেন এমন গালিগালাজ সহ্য করতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ চরমে তোলেন ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়ারা অভিযোগ তুলেছেন, ওই অধ্যাপিকা রোজ ক্লাসে আসেন না। কেন আসেননি? সেটাও জানান না। উলটে চোটপাট করেন। এই বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়ে এবার পথে নামতে হয়েছে। কারণ কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। এবার পড়ুয়ারা জোরালো হুঁশিয়ারি দেন, তাঁদের অভিযোগ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সদর্থক ভূমিকা না দেখালে তাঁরা অনশন করবেন। আর তাতে যদি কোনও ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হন তার দায় কলেজ কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করা হবে।’