রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। কলকাতা, হাওড়া তো বটেই দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা। এবার সেই পথেই হাঁটল হাওড়া। জেলার পুর এলাকার পাশাপশি একাধিক এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করল নবান্ন।
হাওড়ায় ৪১ টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র হাওড়া সদর ডিভিশনেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৩৯ টি এলাকাকে। হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় ২ টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে নবান্ন।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাওড়া পুরসভা এলাকায় যে ওয়ার্ডগুলোতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি হল ১১ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা। এছাড়া, ২৬, ৩৪, ৩৬, ৪০, ৪১, ৪৪, ৪৫ এবং ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১,১৪,১৫ এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে থাকছে তিনটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। পাশাপশি, বালি পুরসভার অন্তর্গত ১০ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও, হাওড়া সদর ডিভিশনের সাঁকরাইল ও ডোমজুড় ব্লকে দুটি করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। জগৎবল্লভপুরে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১১ টি। তাছাড়া, পাঁচলা ব্লক, আমতা-১ ও উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের কিছু এলাকাকে আনা হয়েছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায়।
এই সমস্ত মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে বিশেষ নজরদারি চালানোর মাধ্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। এই মুহূর্তে হাওড়া জেলাতে কনটেনমেন্ট জোন না থাকলেও ছোটো ছোটো এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় এনে সংক্রমণ রোখার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা পরেই দৈনিক করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হাওড়া জেলায়।