খাস নবান্নের আশেপাশে রাস্তার বেহাল দশা, আলো ঠিক মতো জ্বলে না। সোমবার এক প্রশাসনিক বৈঠকে এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধমকও দিয়েছিলেন আধিকারিকদের। সেই ধমক খেয়ে মঙ্গলবার সাত সকালে কাজে নেমে পড়ল হাওড়া পুরসভা। সাফাইকর্মী দিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের পাশাপাশি ডাকা হল দমকলকেও। দলকল দিয়েই চলল রাস্তা পরিষ্কারের কাজ।
এদিন সকালে ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে দমকল ও পুরকর্মীরা জল দিয়ে রাস্তা ধোয়ার কাজ করেন, জল দেওয়া হয় গাছেও। এ সব কর্মকাণ্ড সেরে দুপুর একটা নাগদ একটি বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। সেই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্যা, পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী, পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, হাওড়ার যে সব এলাকার রাস্তা খারাপ সেগুলি সারানোর জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। এই বৈঠকের পর তাঁরা এলাকা পরিদর্শনেও বেরোন। পরে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন,'আজ রাস্তা ধোয়ার জন্য চারটি নতুন গাড়ি নামানো হয়েছে। শহরের উন্নয়নের জন্য আমার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি।'
সোমবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, হাওড়ার ফোরশোর রোডের আলো জ্বলে না। নবান্ন যাওয়ার পথে হাওড়া দিকের রাস্তাও খারাপ। রাস্তা নিয়মিত ধোয়া হয় না বলে তিনি অসন্তোষও প্রকাশ করেন। এরপর তড়িঘড়ি সক্রিয় হয় প্রশাসন। জরুরি বৈঠকও হয় সোমবার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় সাফাইকার্য।
পুর-প্রসাশনের এই উদ্যোগ দেখে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে তাঁদের প্রশ্ন, 'এ সব নিয়মিত চলবে তো!'