বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করছে হাওড়া পুরসভা। তাসত্ত্বেও এই পুর এলাকায় বেআইনিভাবে বহুতল গড়েই চলেছে। এর আগে বেআইনি বহুতলে রাশ টানতে পুরসভার তরফে নোটিশ টাঙানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও বেআইনি নির্মাণ তৈরি বন্ধ হচ্ছে না। এই অবস্থায় এবার বহুতলের নকশা ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া পুরসভা।
আরও পড়ুন: মহানগরীর ৮টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে, কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে যে সমস্ত বাড়ির বা বহুতলের নকশা অনুমোদন করা হবে। সেই নকশা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। এরফলে যে কোনও নাগরিক ওয়েবসাইটে ঢুকে সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা বহুতলের নকশা দেখতে পারবেন। তাতে একদিকে যেমন বেআইনিভাবে নির্মাণ গড়ে উঠলে সাধারণ নাগরিকরা পুরসভাকে সতর্ক করতে পারবেন তেমনি এরফলে বহুতলের নকশা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই এলাকায় বেআইনি নির্মাণের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজারের বেশি। গতবছর এই প্রবণতা রুখতে পুরসভা অনুমোদিত নকশা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে নির্মীয়মাণ বাড়ি বা বহুতলে এই নোটিশ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও দেখা যায় নোটিশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনি নির্মাণ গড়ে ওঠছিল হাওড়া পুরসভা এলাকায়। দোতলা বাড়ির অনুমোদন থাকলেও অনেকেই সেই বাড়ি ৫ তলা পর্যন্ত তৈরি করেছেন। এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অনুমোদনের বাইরে ৫ থেকে ৬ তলা করা হয়েছে এরকম ১৫টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির বেআইনি অংশ অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া হবে। এই প্রবণতার রুখতে এবার থেকে নকশা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে বাড়ির নকশার অনুমোদন দেওয়া হাওড়া পুরসভায় শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। এর ফলে অনুমোদনের সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। পাশাপাশি গত কয়েক বছরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সংখ্যাও বেড়েছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। সেক্ষেত্রে যেখানে ২০২৩-২৪ সালে ১০৭ টি বেআইনি নির্মাণ হয়েছিল সেখানে ২০২৪-২৫ সালে এখনও পর্যন্ত ভাঙা হয়েছে ১৪০ টি অবৈধ নির্মাণ। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলে পুর প্রশাসনের অর্থ খরচ হয়। এ বার থেকে অবৈধ বহুতল ভাঙার প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কতটা ভাঙা হয়েছে সেই মাপ পুরসভায় জমা দেওয়া হবে। পরে ভাঙার জন্য খরচ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।