গত মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভায় ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবার তৎপর হল হাওড়া পুরসভা। এই ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার জন্য শুধুমাত্র বর্ষার সময় বাতিস্তম্ভ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ভাবনা চিন্তা করছে পুরসভা। গতবারও দুর্ঘটনা এড়াতে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এবারও সেই পথে হাঁটতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। ঘটনার পরেই এ নিয়ে পুরসভার আধিকারিকরা সিইএসসি’র অধিকারীকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হাওড়া ময়দানের বাসিন্দা মনীষা সাউয়ের। আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই তরুণী পরিবারের সঙ্গেই হাওড়া ময়দানে থাকতেন। তিনি ডিআরএম বাংলোয় পরিচারিকার কাজ করতেন। সম্প্রতি তার তার বিয়ে নিয়ে বিহারে পাকা কথা বলতে গিয়েছিলেন তার মা ও ভাই। মঙ্গলবার পরিচারিকার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। বাতিস্তম্ভে হাত দিতেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জন্য পুরসভার গাফিলতিতেই দায়ী করেছেন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, পুরসভার গাফিলতি জন্যেই অকালে একটি প্রাণ ঝরে গেল। এদিকে, ঘটনার পর পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী মৃতা তরুণীর বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
ত্রিফলার বাতিস্তম্ভে হাত লেগে তরুণীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে সিইএসসি। হাওড়া পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘গত বছর বর্ষার সময় বেশ কিছু বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তাই এবারও দুর্ঘটনা এড়াতে বর্ষার সময় বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।’