বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বিস্ফোরণ এবং ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলের পাইপলাইন। তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জলকষ্টে ভুগতে হয়েছে হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। সেই সমস্যার সমাধান হতে না হতেই নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে বেলগাছিয়ায়। পুরসভা সূত্রের খবর, ভাগাড় বিপর্যয়ের ফলে জলের পাইপলাইনের পাশপাশি নিকাশি ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা মেরামতের জন্যই আপাতত কয়েকদিন বেলগাছিয়া এবং সংলগ্ন এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করবে হাওড়া পুরসভা। এর ফলে কয়েকদিন সমস্যায় পড়তে পারেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: নিজের তহবিলে দ্রুত ভাগাড় সরিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য, জানালেন ফিরহাদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাগাড় বিপর্যয়ের ফলে নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারফলে কলের জল নর্দমার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে এবং জল জমেছে বেলগাছিয়ার বেশ কিছু জায়গায়। নর্দমার কালো নোংরা জল উঠে আসছে রাস্তায়। এই পরিস্থিতিতে নিকাশি ব্যবস্থা মেরামত করতেই জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। বেলগাছিয়া এলাকায় সকাল এবং দুপুরের দিকে জল পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার দিকে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। মেরামতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। এই কয়েকদিন জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর জন্য ইতিমধ্যেই ড্রেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভাগাড় বিপর্যয়ের পর স্থানীয়দের সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে সেই সিদ্ধান্তে রাজি হননি বাসিন্দারা। তাঁরা বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এবিষয়ে জেলাশাসক পি দিপপপ্রিয়া জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের সরানো না হলে মাটি পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না। এই সমস্ত বাসিন্দাদের কন্টেনার এবং স্কুল বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকালই বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একশোর বেশি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৬০টি পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে এবং তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।