গতকাল হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা ঘিরে হিংসার ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল অঞ্জনী পুত্র সেনা নামে একটি সংগঠন। অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে যখন রামনবমীর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, সেই সময় মিছিলকে লক্ষ্য করে প্রথমে কাচের বোতল, ইট ও পাথর ছোড়া হয়। পরবর্তীতে পেট্রোপ বোমাও ছোড়া হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। আজ সকালেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে সচিবালয় সহায়করা, মুখ্যমন্ত্রী লেখা হল খোলা চিঠি)
অঞ্জনী পুত্র সেনার অভিযোগ, কর্মসূচির জন্য আগাম পুলিশের অনুমতি নেওয়া থাকলেও মিছিলে হামলা হয়। উল্লেখ্য, গতবারও রামনবমীর মিছিলে এই এলাকায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের দাবি, বিকেলের পর সন্ধ্যাবাজারের কাছে মিছিল পৌঁছলে সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে মদের বোতল ও ইট-পাথর ছোড়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। একাধিক ঠেলা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্থানীয় বাজার, দোকানের উপরও হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সংগঠকদের অভিযোগ, পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি। এদিকে হিংসার ঘটনায় ৫-৬ পুলিশকর্মী সহ প্রায় ১০-১৫ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: '৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট হবে', সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে বড় ছক ডিএ আন্দোলনকারীদের
এদিকে অঞ্জনী পুত্র সেনার অভিযোগ, তাঁদের উপরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। অঞ্জনী পুত্র সেনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুরেন্দ্র বাবা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের সুবিধার্থে বৃহস্পতিবার অঞ্জনী পুত্র সেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ ৪২ টি সংগঠন একত্রে এই মিছিল বের করেছিল। এই শান্তিপূর্ণ মিছিলের সুরক্ষার জন্য আগাম জানান হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনকে। উল্লেখ্য, গত বছরেও অঞ্জনী পুত্র সেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে এই একই জায়গায় হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে পরবর্তীকালে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
এদিকে গতকালকের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যারা আজকে দাঙ্গা করেছে, যতই মামলা করুক আর হামলা করুক, কোনও অজুহাত আমি শুনব না। একজন দোষ করবে সবার নামে দোষ হবে কেন? আমি দাঙ্গাকারীদের প্রশ্রয় দিই না। আমি দাঙ্গাকারীদের দেশের শত্রু মনে করি।' এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিয়তায় এই ঘটনা ঘটেছে।