হাওড়ার নাজিরগঞ্জের লিচুবাগান এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ। গতরাতের এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ তৃণমূলের যুবনেতা আরিফ খানের বাড়িতে চড়াও হন বেশ কয়েকজন যুবক। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত হলেন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী গুড্ডু খান। তিনি ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মন্ত্রী অরূপ রায়ের দাবি, এই গুড্ডু খান তৃণমূলে ফিরতে চাইছিলেন। এদিকে গুলিবর্ষণের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গুড্ডু খান বন্দুক হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। রবিবার সকালেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গুড্ডু খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ধৃত গুড্ডু খানকে নিয়ে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, 'বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন গুড্ডু খান। মমতা-অভিষেকের সঙ্গে দেখাও করেন গুড্ডু। রাজ্যের নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন গুড্ডু খান।' পাশাপাশি মন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল গুড্ডুকে এখনও গ্রহণ করেনি। তিনি আরও দাবি করেন, দোষ করলে পুলিশ গুড্ডুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। যুব তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বেধড়ক মারধর অভিযোগ উঠেছে গুড্ডু খান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
২০২১-এ যুব তৃণমূল নেতা আরিফের বাবাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহত ওয়াজুল খান তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন। সেই সময় ওয়াজুল খানের হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল গুড্ডু খানের। এদিকে আরিফের ভাইয়ের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের সময় গুড্ডু যখন বিজেপিতে যোগ দেন, তখন থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আরিফকে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযযোগ, তাঁদের উদ্দেশে গালি দিচ্ছিলেন গুড্ডু। বন্দুক হাতে আরিফের পরিবারের সদস্যদের তাড়া করছিলেন তিনি। পরে আরিফের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে গেলে গুলি চালাতে শুরু করেন গুড্ডু। অভিযোগ, এলাকার অনেকের বাড়িতে ঢুকেও হামলা চালান গুড্ডু ও তাঁর অনুগামীরা। স্থানীয়দের দাবি, গুড্ডু খান যখন তৃণমূলে ছিলেন, এলাকায় তাঁর ব্যাপক দাপট ছিল। বিজেপিতে যাওয়ার পর তা কিছুটা কমে যায়। ফের দাপট দেখিয়েই তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি।