লাগাতার ২ দিনের সাম্প্রদায়িক হিংসায় হাওড়ায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবারই বদল হয় হাওড়া শহর ও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার। এর পরই বাড়ে পুলিশি তৎপরতা। আমতা, ডোমজুড়, জগাছার মতো এলাকায় হানা দিয়ে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানো, অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তি নষ্টের মতো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
এদিন পাঁচলা থেকে ২২ জন, সাঁকরাইল থেকে ১৮ জন, ডোমজুড় থেকে ৫ জন, উলুবেড়িয়া থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর রবিবারও থমথমে গোটা এলাকা। বন্ধ ইন্টারনেট। জাতীয় সড়ক, এমনকী ছোট রাস্তাগুলিতেও টহল দিচ্ছে পুলিশ। শুক্রবারের হামলা সামলে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে ডোমজুড় থানা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। নূপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে সেদিন ১১ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে রেখে দেয় একাধিক মুসলিম সংগঠন। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে লাগাতার অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি দোকানে ও বাড়িতে শুরু হয় হামলা। একের পর এক দোকান ভাঙচুর করে লুঠ করা হয়। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির একাধিক পার্টি অফিসে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তেমন কাজের কাজ হয়নি।
শুক্রবার ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সলপ মোড়ে অবরোধ শুরু করে মুসলিম সংগঠনগুলি। এর পর একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। যার জেরে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে জাতীয় সড়ক।