হাতে গোনা দু’একটি ছাড়া জেলায় কোনও হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত জায়গা। ফলে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামকে কোয়ারেনটাইন সেন্টার বানিয়ে ফেলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়ে যাবে এই কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা ছিল, বিদেশ থেকে বিমানে কলকাতায় ফেরা ব্যক্তিদের সেখানে রাখা হবে সেখানে।
গত প্রায় ১ সপ্তাহ ডুমুরজলা স্টেডিয়ামকে কোয়ারেনটাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। দীর্ঘদিন বন্ধ পড়ে থাকা স্টেডিয়াম সাফ সুতরো করে ভাল করে জীবাণুনাশক ছড়াতে হয়েছে। সংস্কার করতে হয়েছে পড়ে থাকা শৌচাগারগুলি। সব মিলিয়ে ১৩০ জনকে এই কেন্দ্রে কোয়ারেনটাইনে রাখা যাবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু স্টেডিয়ামকে হাসপাতাল বা কোয়ারেনটাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা নতুন কিছু নয়। বিশ্বজুড়ে এর উদাহরণ রয়েছে ভুরিভুরি। যে কোনও সময় বিশাল আচ্ছাদিত এলাকার প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা হয় স্টেডিয়ামকে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর চিনের একাধিক স্টেডিয়ামকে হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে।
উহান শহরেই হাসপাতালে পরিণত হয়েছে আস্ত একটা স্টেডিয়াম। ইউরোপেও একাধিক স্টেডিয়ামকে হাসপাতালে পরিণত করে হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা চলছে। স্টেডিয়ামকে কোয়ারেনটাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে ব্রাজিলেও। সেখানে একাধিক ফুটবল স্টেডিয়ামকে কোয়ারেনটাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।