এবারের উচ্চমাধ্যমিকের জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশন পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ট্রেন্ড অনুসরণ করা হল না। সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেনের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপিকা সম্প্রীতি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স যাচাই করার জন্য কয়েকটি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল, এবার সেটা হয়নি। তবে প্রশ্নপত্র কঠিন হয়নি। বরং সিলেবাসের মধ্যে থেকেই সব প্রশ্ন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘প্রশ্ন খুবই ভালো হয়েছে। সিলেবাসের মধ্যে থেকেই যাবতীয় প্রশ্ন হয়েছে। সিলেবাসের বাইরে থেকে কোনও প্রশ্ন চোখে পড়েনি আমার। এককথায় বলতে গেলে যারা ভালো করে বই পড়ে গিয়েছে, তাদের এবার উচ্চমাধ্যমিকের জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন পরীক্ষা ভালো হয়েছে।’
তেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ভিত্তিক প্রশ্ন করা হয়নি!
সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেনের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপিকা আরও বলেছেন, ‘এবারের প্রশ্ন দেখে সোজাই লাগছে। এমসিকিউও ভালো এসেছে। সিলেবাসের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে। আগেরবার যেমন কিছুটা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এবার সেটা হয়নি। আগেরবার এমন কয়েকটি প্রশ্ন এসেছিল, যেগুলির উত্তর তারাই দিতে পেরেছিল, যারা নিয়মিত খবর দেখত। এবার সেরকম হয়নি। এবার মূলত থিয়োরেটিক্যাল জায়গা থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ভিত্তিক সেরকম প্রশ্ন করা হয়নি।’
তারইমধ্যে এমসিকিউ প্রশ্নে যেরকম বিকল্প দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপিকা। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘কয়েকটি বিষয়ের ফুল ফর্ম জানতে চাওয়া হয়েছে। SITE-র ফুল ফর্ম জানতে চাওয়া হয়। যেটাকে আমরা বলি স্যাটেলাইট ইনস্ট্রাকশনাল টেলিভিশন এক্সপেরিমেন্ট। সেখান থেকে একটা এমসিকিউ দিয়েছে। এমসিকিউয়ের যে বিকল্প দেওয়া হয়েছে, সেগুলি খুব ভালো। একটা দিয়েছে, স্যাটেলাইট ইনস্টিটিউট টেলিভিশন এক্সপেরিমেন্ট। একটা দিয়েছে স্যাটেলাইট ইনস্ট্রাকশনাল টেলিভিশন এক্সপেরিয়েন্স, স্যাটেলাইট ইনস্ট্রাকশনাল টেলিকমিউনিকেশন এক্সপেরিমেন্ট।’
বড় প্রশ্ন সহজ হয়েছে!
আবার কয়েকটি বড় প্রশ্নও বেশ মনে ধরেছে বলে জানিয়েছেন সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেনের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপিকা। তিনি বলেছেন, ‘বড় প্রশ্নও বেশ সহজ এসেছে। কমিউনিকেশনের নর্মেটিভ থিওরি দিয়েছে। জ্ঞাপনের সংজ্ঞা দিয়েছে। ব্যারিয়ার্স অফ কমিউনিকেশন দিয়েছে। লাসওয়েল মডেল দিয়েছে।’
সায়েন্স জার্নালিজম দেওয়া হয়েছে, বিষয়টা বেশ ভালো
সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এবার কৃষি দর্শন দেওয়া হয়। প্রশ্ন করা হয় যে কৃষি দর্শন কোন ধরনের সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে। প্রশ্নটার মধ্যেই উত্তর রয়েছে। আবার একটা ব্যাপার দেখে খুব ভালো লেগেছে যে সায়েন্স জার্নালিজমের প্রশ্ন দিয়েছে। যারা জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন নেয়, তাদের হয়তো বিজ্ঞানের বিষয় থাকে না। কিন্তু এবার পরীক্ষায় সায়েন্স জার্নালিজম এসেছে। যেটা খুব ভালো দিক বলে আমার মনে হয়।’