উচ্চমাধ্যমিকের কেমিস্ট্রির প্রশ্ন খুব একটা সহজ এল না। কয়েকটি প্রশ্ন বেশ ঘুরিয়ে এসেছে। যে প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা একটু হোঁচট খেতে পারেন। যদিও সেরকম প্রশ্নের সংখ্যা বেশি নয়। ৭০ নম্বরের মধ্যে মেরেকেটে ১০ নম্বরের প্রশ্ন কিছুটা ঘুরিয়ে এসেছে। বাকি প্রশ্ন সহজ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন নসিবপুর হাইস্কুলের কেমিস্ট্রির শিক্ষক অতনু পাল। ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে তিনি জানিয়েছেন, যে ছাত্র-ছাত্রীরা মোটামুটি ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাঁরা অনায়াসে ৭০-৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে যাবেন। কারণ কয়েকটি প্রশ্ন বাদ দিয়ে বাকি প্রশ্ন সহজ হয়েছে।
‘সচরাচর এরকম আসে না..’, কোন প্রশ্ন নিয়ে বললেন শিক্ষক?
তাঁর কথায়, 'এবার উচ্চমাধ্যমিকের কেমিস্ট্রি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মডারেট হয়েছে। খুব যে সহজ প্রশ্ন এসেছে, সেটা বলা যাবে না। কারণ কয়েকটি অর্গ্যানিক রিঅ্যাকশন একটু ঘুরিয়ে এসেছে। দু'তিনটি প্রশ্ন একটু নতুন লেগেছে আমার। বাকি অর্গ্যানিক প্রশ্ন বেশ সহজ এসেছে। ইন-অর্গ্যানিকের ক্ষেত্রেও তাই। দু'একটা ইন-অর্গ্যানিকের প্রশ্নও বেশ ঘুরিয়ে করা হয়েছে। তবে অন্যবারের তুলনায় ইন-অর্গ্যানিকের প্রশ্ন যথেষ্ট সহজ হয়েছে।'
কেমন নম্বর উঠতে পারে কেমিস্ট্রি পরীক্ষায়?
সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ফিজিক্যালের মধ্যে থেকে ইলেকট্রো কেমিস্ট্রি এবং দ্রবণের অঙ্ক একটু অন্যরকম ধাঁচে এসেছে। সচরাচর এরকম দেখা যায় না। এই আট থেকে ১০ নম্বর ছাড়া বাকি প্রশ্ন বেশ সহজ এসেছে। অনেকেই অনায়াসে ৭০-৮০ শতাংশ পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। ১০ নম্বরের মতো প্রশ্ন একটু স্ট্যান্ডার্ড পড়ুয়াদের জন্য ছিল। বাকি প্রশ্ন ঠিকই আছে।’
অঙ্কের ফর্মুলা জানা, কিন্তু সমীকরণটা অন্য ধাঁচের
নিউমেরিক্যাল এবং ইলেকট্রো কেমিস্ট্রি থেকে ঠিক কীরকম প্রশ্ন করা হয়েছে, সেটা ব্যাখ্যা করে নসিবপুর হাইস্কুলের কেমিস্ট্রির শিক্ষক বলেছেন, ‘দ্রবণ চ্যাপ্টার থেকেই একটি নিউমেরিক্যাল দিয়েছে। এরকম ধরনের নিউমেরিক্যাল সাধারণত আসে না। একটু ঘুরিয়ে দিয়েছে। ইলেকট্রো কেমিস্ট্রি বা তড়িৎ রসায়নের যে নিউমেরিক্যাল দিয়েছে, সেটার সমীকরণটাও নতুন ধাঁচের। অঙ্কগুলি সোজা। যে ফর্মুলা ব্যবহার করে অঙ্ক করতে হবে, সেগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের জানা। কিন্তু অঙ্কগুলি একটু ধরনের।’
তবে সেরকম কয়েকটি প্রশ্ন বাদ দিয়ে যে প্রশ্ন করা হয়েছে, বাকি প্রশ্ন ভালোই হয়েছে। নসিবপুর হাইস্কুলের কেমিস্ট্রির শিক্ষক এমসিকিউয়ের প্রশ্নও সহজ এসেছে। কয়েকটি প্রশ্ন কমনও পেয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। অর্থাৎ সালের প্রশ্ন থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন নসিবপুর হাইস্কুলের কেমিস্ট্রির শিক্ষক।