উচ্চমাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন অত্যন্ত সহজ এসেছে বলে জানালেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, পুরনো ধাঁচে হওয়া শেষবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অঙ্কে যেমন প্রশ্ন করা হয়েছে, তাতে ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই ভালো নম্বর পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁদের একেবারে পরিচিত অঙ্ক এসেছে। ফলে মাথা ঠান্ডা রেখে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের বিন্দুমাত্র সমস্যা হবে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নঙ্গী হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক শেখ রিয়াসত আলির কথায়, ‘প্রশ্ন যথেষ্ট সুন্দর করেছে। আমার মনে হয়, এটা শেষবার বলে প্রশ্ন সহজ করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা হওয়ার কোনও কথা নয়। শুধুমাত্র দুটি প্রশ্নের মধ্যে একটু নতুনত্ব আছে। সেরকম প্রশ্ন থাকাও উচিত। তাছাড়া বাকি প্রশ্নগুলো খুব সুন্দর করেছে। সবদিক থেকে ভালো প্রশ্ন হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।’
ইন্টিগ্রেশনের ক্ষেত্রে একটু নতুনত্ব আছে
আর যে দুটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটু নতুনত্ব আছে, তার মধ্যে একটি হল তিনের ‘সি’-র দুইয়ের 'অথবা' (৩.সি.২.অথবা)। ইন্টিগ্রেশনের ক্ষেত্রে কিছুটা নতুনত্ব আছে। কিছুটা শক্ত বলেও মনে হতে পারে। কারণ ‘X^3’-টা বাইরে বের করে ডেরিভেটিভটা তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে ওই প্রশ্নটা একটু কঠিন মনে হলেও ৩.সি. দাগের প্রশ্নটা একদম সহজ এসেছে। ফলে ‘৩.সি.২.অথবা’ কঠিন মনে হলেও ছাত্র-ছাত্রীরা সেটি এড়িয়ে যেতে পেরেছেন।
প্রোবালিটির ১টা অঙ্কও একটু জটিল মনে হতে পারে
আর দ্বিতীয় যে প্রশ্নটা একটু কঠিন মনে হতে পারে, সেটা হল ‘৩.ই.২’ দাগের প্রশ্ন। নঙ্গী হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রোবাবিলিটির অঙ্কটার ক্ষেত্রে নতুনত্ব দেখা গিয়েছে। তবে সেটার ক্ষেত্রেও বিকল্প ছিল। ‘৩.ই’ দাগে দুটি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। একটি লিখতে হত। ‘৩.ই.১’ দাগের প্রশ্নটা সহজ ছিল। যাঁদের ‘৩.ই.২’ দাগের প্রশ্নটা জটিল মনে হয়েছে, তাঁরা সহজেই ‘৩.ই.১’ দাগের উত্তর দিতে পেরেছেন। পূর্ণমান ছিল চার।
‘৩.ই.২’ দাগের প্রশ্নটা কী?
‘একটি মেয়ে একটি ছক্কা ছুড়ল। যদি সে ১ বা ২ পায়, তখন সে একটি মুদ্রা তিনবার টস করে এবং টেলের সংখ্যা লিখে রাখে। যদি সে ৩, ৪, ৫ বা ৬ পায়, তখন সে একটি মুদ্রা একবার টস করে এবং হেড বা টেল যা পড়ল, সেটা লিখে রাখে। যদি তার কেবলমাত্র একটি টেল পড়ে, তাহলে ছক্কা ছোড়ার সময় ৩,৪, ৫ বা ৬ পড়ার সম্ভাবনা কত?’