উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ‘পিওর সায়েন্স’-র শুরুটা ভালোই হল। কারণ শুক্রবার যে ফিজিক্স (পদার্থবিদ্যা) পরীক্ষা হল, তার প্রশ্ন একেবারে সহজ এসেছে। পরীক্ষার আগে যে প্রশ্নগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল, সেগুলিই উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপ্রত্রে স্থান পেয়েছে। ফলে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই প্রশ্নপত্র ‘কমন’ পাবেন বলে আশা করেছেন শিক্ষকরা। প্রচুর নম্বরও উঠবে। কলকাতার পাঠভবন স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক সৌরভ মণ্ডলের কথায়, ‘এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফিজিক্সের প্রশ্ন ভীষণ সহজ এসেছে। সবধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যথাযথ প্রশ্নপত্র করা হয়েছে। (পরীক্ষার পর থেকে) আমার সঙ্গে যে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা হয়েছে, তারা পরীক্ষা দিয়ে খুব খুশি হয়েছে। যারা টেস্ট পেপার সলভ করেছে এবং আগের কয়েক বছরের প্রশ্ন (সালের প্রশ্ন) ধরে প্র্যাকটিস করেছে, তারা প্রচুর প্রশ্ন কমন পেয়েছে।’
লাইট, ইলেকট্রো স্ট্যাটের প্রশ্ন কেমন এসেছে?
ফিজিক্স প্রশ্নপত্রের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে তিনি বলেছেন, ‘ইলেকট্রো স্ট্যাটের ক্ষেত্রে বলতে পারি যে ইনফ্রাইট লং ওয়্যারের যে প্রুফটা এসেছে, সেটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর লাইটের ক্ষেত্রে কনভেক্স মিররের ফর্মুলা ডিরাইভ করতে দেওয়া হয়েছে, সেটাও দরকারি ছিল। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই বিষয়টা।’
পাঠভবন স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক আরও বলেছেন, ‘প্রিজমের যে ডেরিভেশন এসেছে, সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হাইগেন্স প্রিন্সিপাল দিয়ে রিফ্লেকশনাল অফ লাইট প্রুফটাও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেটাও এসেছে। সহজভাবে বলতে গেলে এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফিজিক্স পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলিই এসেছে।’
মর্ডান ফিজিক্সের প্রশ্ন কি ঘুরিয়ে এসেছে?
একইভাবে মডার্ন ফিজিক্সের প্রশ্নগুলির উত্তর দিতেও পরীক্ষার্থীদের বিশেষ অসুবিধা হবে না। ওই অংশ থেকেও একেবারে সহজ প্রশ্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঠভবন স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। তিনি বলেছেন, ‘মডার্ন ফিজিক্সের অংশ থেকেও ভীষণ সোজা-সোজা প্রশ্ন এসেছে। যেগুলি ছাত্র-ছাত্রীরা পারবে।'
সেমিকন্ডাক্টর থেকেও সহজ প্রশ্ন এসেছে!
তিনি আরও বলেছেন, 'সেমিকন্ডাক্টর অংশের ক্ষেত্রেও একই ধারা বজায় ছিল। খুবই সহজ প্রশ্ন করা হয়েছে। জেনার ডায়োড এসেছে, তার বৈশিষ্ট্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এককথায় বলতে গেলে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব খুশি হয়েছে। তারা ভালোই ফল করবে বলে আশা করছি। স্বভাবতই ভালো নম্বর উঠবে।’
আর সেই পরিস্থিতিতে ‘পিওর সায়েন্স’ থাকা পরীক্ষার্থীরা এবার আগামী ১১ মার্চের দিকে মনোনিবেশ করছেন। সেদিন কেমিস্ট্রি বা রসায়ন পরীক্ষা আছে। যাঁদের কম্পিউটার সায়েন্স রয়েছে, তাঁদের অবশ্য শনিবারই পরীক্ষা হবে। তারপর আগামী ১৩ মার্চ অঙ্ক পরীক্ষা আছে। বায়োলজিক্যাল সায়েন্স পরীক্ষা আছে আগামী ১৭ মার্চ।