মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে একেবারে ‘প্রথম’ স্থান অধিকার করলেন মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। যিনি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান।
ছেলেবেলা থেকেই কান্দির রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছেন রুমানা। ৬৮৭ নম্বর পেয়ে ২০১৯ সালের মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছিলেন। তারপর ওই স্কুলেই বিজ্ঞান বিভাগে ভরতি হন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। তার ফলস্বরূপ ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ‘প্রথম’ স্থান অধিকার করেছেন রুমানা।
যদিও এবার পরীক্ষা না হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস তাঁকে ‘প্রথম স্থানাধিকারী’-র তকমা দিতে চাননি। তাতে অবশ্য রুমানার ৪৯৯ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্ব কোনওভাবেই খাটো হচ্ছে না। তবে পরীক্ষা না হওয়ায় রুমানারও সামান্য আক্ষেপ থেকে গিয়েছে। বলেন, 'পেয়েছি যখন, তখন খুশি আমি। পরীক্ষা হলে খুশি হতাম। কিন্তু পরীক্ষা যেহেতু নেওয়া যায়নি, তাই আমি এতেই সন্তুষ্ট।'
আপাতত সেইসবকে পিছনে ঠেলে আগামীর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন রুমানা। জানান, জীববিদ্যা (বায়োলজি) নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে। তবে ভালো মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেলে তখন চিকিৎসক হয়ে ওঠার জন্যই পড়াশানো করবেন। যিনি নিজের সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব বাবা ও মা'কেই দিয়েছেন। ভালো ও খারাপ সময় পাশে থেকেছেন তাঁরা।
মেয়ে প্রথম হওয়ায় উৎফুল্ল হয়েছেন রুমানার অভিভাবক। দু'জনেই পেশায় শিক্ষক। মা সুলতানা পারভিন শিক্ষিকা। বাবা রবিউল আলম ভরতপুর গয়েশাবাদ অচলা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক। তাঁরা জানান, মেয়ে বরাবরই বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ভালোবাসেন। তবে সারাক্ষণ যে রুমানা পড়াশোনা করতেন, তা মোটেও নয়। রুমানা নিজেই জানিয়েছেন, দিনে বড়জোর পাঁচ-ছ'ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। তার বেশি শরীর দিত না। বরং কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। তবে কোনও কবিতা শোনাতে চাননি লাজুক রুমানা। বরং জানালেন, পরে কবিতা পাঠিয়ে দেবেন।