সম্প্রতি একাদশ, দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সিংহভাগ স্কুলই ট্যাব কেনার টাকা পেয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু স্কুল সেই টাকা পায়নি। সেরকমই একটি স্কুল হল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর কাজীপাড়া হরিদাস বিদ্যাভবন। আর এবার ট্যাবের টাকা না পেয়ে পথ অবরোধ করলেন একাদশ, দ্বাদশের পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, অবিলম্বে ট্যাব কেনার টাকা দিতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার জলঙ্গী শেখপাড়া রাজ্য সড়কে বসে বিক্ষোভ অবরোধ করেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: কত পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পেয়েছে? তালিকা পাঠানোর নির্দেশ প্রধান শিক্ষকদের
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বক্তব্য, আশেপাশের সব স্কুল ট্যাব কেনার টাকা পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তাদের এখনও ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুধু বারবার তাদের সময় দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, টাকা তারা পাচ্ছেন না। তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এদিন বিক্ষোভ অবরোধ করেন পড়ুয়ারা।
এদিন পড়ুয়াদের মুখে শোনা যায়, ‘ট্যাব চাই, ট্যাব চাই, ট্যাব চাই, নাহলে ছাড়ছি না রাস্তা’ স্লোগান। পড়ুয়ারা ট্যাবের দাবিতে রাস্তায় বসে পড়ার পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেন। তার ফলে রাজ্যসড়কে ব্যাপকভাবে যান চলাচল ব্যাহত হয়। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বাস, লরি এবং অন্যান্য যান। এদিন প্রথমে সাগরপাড়ায় শুরু হয় পথ অবরোধ। তবে বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়ায় জলঙ্গী শেখপাড়া রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক বাস, লরি। এদিকে, এই খবর পাওয়ার পরে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। তবে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা পুলিশকে জানিয়ে দেয় তাদের দাবি পূরণ না হলে অবরোধ উঠবে না। ট্যাবের টাকা চাই, আশ্বাসে কাজ হবে না।
পরে পথ অবরোধের খবর শুনে সেখানে পৌঁছন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি পড়ুয়াদের অবরোধ তুলে নিতে বলেন। এমনকী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। তখন প্রধান শিক্ষক জানান, ৭৫ টি স্কুল ট্যাবের টাকা পায়নি। যাতে তাড়াতাড়ি টাকা আসে সেই চেষ্টায় তিনি করে যাচ্ছেন। তবে পড়ুয়ারা দাবি করেন, ডিআইকে এসে আশ্বাস দিতে হবে তবেই তারা অবরোধ তুলে নেবে।
ছাত্রদের বক্তব্য, তারা তাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানাচ্ছেন। সব জায়গায় টাকা দেওয়া হচ্ছে তারা পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়েই তারা অবরোধ করছেন। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। তবে ছাত্রছাত্রীদের দাবি, কাজ না হলে তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।