Huge Amount of Cash Seized: শিবপুরে টাকার পাহাড়ের নেপথ্যে কোন জালিয়াতি? রহস্যের জট খুলতেই ফ্রিজ আরও ২০ কোটি

শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিক লোককে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই পুলিশের হাতে এল কোটি কোটি টাকা।

শিবপুরে টাকার পাহাড়।

হাওড়ার শিবপুরের একটি আবাসনে রাখা গাড়ি থেকে শনিবার রাতে দুই কোটি কুড়ি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই গাড়ি অরবিন্দ পাণ্ডে নামক এক ব্যক্তির। তাঁর ভাই শৈলেশ পাণ্ডে নামক এক ব্যবসায়ীর সূত্র ধরেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। কানাড়া ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে শনিবার রাতে শৈলেশের তিনটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সান্তা সিং মোড়, মন্দিরতলা এলাকায়, কাউস ঘাট রোড হানা দেয় পুলিশ। বাড়িগুলিতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কাউস ঘাট রোডের বাড়ির সামনে পার্কিংয়ে রাখা একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়। টাকার পাশাপাশি সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সোনা, রুপো, হিরের প্রচুর গয়না।

জানা গিয়েছে, শৈলেশ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করত। নরেন্দ্রপুরে ব্যাঙ্কের শাখার একটি অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতেই কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই অর্থ ফ্রিজ করা হয়েছে তবে অভিযুক্ত শৈলেশের খোঁজ পায়নি পুলিশ। তাঁর পরিবারের কারও খোঁজও পায়নি পুলিশ। শৈলেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই আবহে শিবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর হেয়ার স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের তদন্তেই উঠে এসেছিল শৈলেশের নাম। শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিক লোককে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন তিনি। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত কয়েকজন ওই রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানান। এরপরই ওই ব্যাংকের তরফ থেকে শৈলেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।