দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং। বরাবরই আম বাঙালির প্রিয় জায়গা। তবে দার্জিলিংয়ে শুধু যে কলকাতা কিংবা বর্ধমানের পর্যটকরাই যান এমনটা নয়, প্রচুর বিদেশি পর্যটকদের কাছেও দার্জিলিং অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। হাত বাড়ালেই যে বাংলাদেশ, সেখান থেকেও প্রচুর পর্যটক দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসেন। আর এবার যেন সেই বাংলাদেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে পাহাড়ে।
কাঁটাতার ভাগ করে দিয়েছে দুই দেশকে। কিন্তু তবুও দার্জিলিংয়ের প্রতি টানটা কোনও অংশে কমেনি ওপার বাংলার। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী অথবা ঢাকা, দার্জিলিংয়ের নাম শুনলেই অনেকের মনটাই খুশিতে ভরে ওঠে। এমনকী বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আসা ইউটিউবারদের কাছেও অত্যন্ত প্রিয় জায়গা দার্জিলিং। দার্জিলিংয়ে কোথায় থাকবেন, কী করবেন, কীভাবে যাবেন সবটা থাকছে সেই সব ভিডিয়োতে। আর সেই সব ছবি যেন দার্জিলিংয়ের প্রতি প্রেমকে আরও উসকে দিচ্ছে।
অতিমারির বিধিনিষেধ আর নেই। ফের সেই চেনা ছন্দে ফিরছে দার্জিলিং। হোটেলে, হোমস্টেতে একেবারে ঠাঁই নেই অবস্থা। আর সেই ভিড়ের মধ্যে কানে আসছে বাংলাদেশি টানে নানা কথা। ভারতে বেড়াতে এসেছেন তারা। আর ভারতে আসবেন আর দার্জিলিংয়ে যাবেন না তা কি হয়?
অনেকে আবার জীবনে বেশ কয়েকবার করে দার্জিলিংয়ে এসেছেন। তবুও যেন ফুরোয় না পাহাড়ের প্রতি টান। তবে এখন অনেক ক্ষেত্রেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে না। মেঘে ঢাকা থাকছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এত দূর থেকে এসে এনিয়ে কিছুটা আফশোস তো আছেই। তবুও হাত বাড়ালেই এই যে পাহাড়, মেঘের আনাগোনা, নির্জন পাহাড়ি পথ, এসবের টানেই তো ছুটে আসা ওপার বাংলা থেকে।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিংয়ে আসা অনেকটাই সহজতর হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ বছর পরে চালু হয়েছে মিতালি এক্সপ্রেস। এনজেপির সঙ্গে যোগ আরও সহজ। এছাড়া অনেকেই বাসে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি শিলিগুড়ি চলে আসেন। এরপর সরাসরি দার্জিলিংয়ে। শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে নামার পর গাড়ি ভাড়া করে সোজা দার্জিলিংয়ে।
তবে বাংলাদেশি পর্যটকরা বিশেষত দার্জিলিং শহর ও সংলগ্ন জায়গাতেই থাকেন। কালিম্পং, কার্শিয়াংয়েও আসেন। তবে তুলনায় অফবিট পর্যটনকেন্দ্রে তাঁরা কম যান। তবে ইদানিং অনলাইনে বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিংয়ের হোমস্টে বুক করার প্রবণতা বাড়ছে।
সেই নিরিখে দার্জিলিংয়ে যেন এখন মৈত্রীর খোলা হাওয়া। একাধিক হোটেলে বাঙালি খাবারও মেলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এসে অনেকে পাহাড়ি খাওয়া দাওয়াতে রসনা মেটাতে চান। এটা তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা।