পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার বীরভূম থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। এবার আগ্নেয়াস্ত্র–সহ বোমা তৈরির প্রচুর মশলা, দেশি পিস্তল এবং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহাড় জেলে। তার পরও বিস্ফোরণ, বোমার আঘাতে শিশুমৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে তার জন্য বদল হয় পুলিশ সুপার। এখন জেলাজুড়ে লাগাতার নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাতেই মিলল সাফল্য।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২১টি কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির বারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার জবুনি গ্রামে। ধৃতের নাম রমজান শেখ। তার বাড়ি জবুনি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। এই বোমার বারুদ পাচার করার ছক ছিল তার। আগ্নেয়াস্ত্র সে কোথা থেকে পেল তা নিয়ে জেরা চলছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে বীরভূমের মল্লারপুর থানার জবুনি গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন রমজান শেখের বাড়ি থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কিছু কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির বারুদ–মশলা উদ্ধার করে পুলিশ। এখানে বোমা তৈরির মশলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র আছে তা আগেই খবর মিলেছিল। বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র কারবার চক্রের সঙ্গে যুক্ত এই রমজান শেখ। ধৃতকে জেরা করে তদন্ত শুরু করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।
ঠিক কী বলছেন পুলিশ সুপার? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন মল্লারপুর থানা এবং জেলা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘জেলাজুড়ে নজরদারি চলছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় নাকাবন্দি করে বহু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মল্লারপুরে পাচারের উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র জড়ো করা হয়েছিল। সেগুলি উদ্ধার করা হল।’ তবে কোথা থেকে এল এত অস্ত্র, কোথায় পাচারের ছক ছিল সেটা খুঁজছে বীরভূম পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup