উত্তরবঙ্গকে সাজিয়ে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার সেখানে সফর করেছিলেন। আর বণিকসভা থেকে শিল্পমহলের সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশনের মাধ্যমে একাধিক ক্ষেত্রে শিল্প গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগের ডাক দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে এপ্রিল মাসে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন।
এবার শিল্পপতিরা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে এবং গোটা বিষয়টি বুঝে বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছেন। এখন ৮ জেলায় শিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা শুনে খুশি তাঁরা। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উঠে এল বিপুল বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা। যা আগে শিল্পপতিদের সামনে কেউ তুলে ধরেননি।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্প এবং কর্মসংস্থানকে পাখির চোখ করেছেন। তাই এবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে যোগ দেন উত্তরবঙ্গের ৪০০ শিল্পপতি। সেখানে তিন ভাগে ভাগ করে উত্তরবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাকে তুলে ধরা হয়। এই তিনটি ভাগ কী? বৈঠকে বলা হয়, হর্টিকালচার–ফুড প্রসেসিং–অ্যানিমাল রিসোর্স, টুরিজম ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং এমএসএমই–টেক্সটাইল। এমনকী আগামী ৩–৫ বছরের মধ্যে ৫৮০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি করা হবে ১৮ শিল্প পার্ক বলে জানানো হয়।
বৈঠকে আর কোন কোন বিষয় উঠে আসে? এদিন বৈঠকে বলা হয়, এই পার্কগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ২২১০ কোটি। কর্মসংস্থান হতে পারে ৩১০০০ মানুষের। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৬২৪৭ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান সম্ভব ৩৭,৫০০ লোকের। এমএসএমই সেক্টরের জন্য উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার জন্য ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। টি ট্যুরিজিম প্রকল্পে বিনিয়োগ হতে পারে ৬৩৬ কোটি টাকা। আগামী ৩ বছরে এডিআর সেক্টরে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং চলছে। পর্যটন ক্ষেত্রে আগামী ৩ বছরে ১৫৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এককথায় শিল্প বৈঠকে থেকে যা উঠে এল তা হল আগামী ৩-৫ বছরে মোট ১০,৮২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।