এবার বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হল পশ্চিমবঙ্গের তিন জায়গা থেকে। এই তিনটি জায়গা থেকে সোনা পাচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই হাওড়া, জোড়াসাঁকো এবং নদিয়া থেকে চোরাই সোনা উদ্ধার করল শুল্ক দফতর। এই তিন জায়গার মোট সোনার আর্থিক মূল্য ২ কোটি টাকা। বিদেশি সোনার বাঁট, বিস্কুট সবই উদ্ধার হয়েছে।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশন চত্বরে বিশেষ হানা দিয়ে শুল্ক দফতর ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিদেশি সোনার বাঁট উদ্ধার করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি বিশেষ টিম ওত পেতে অপেক্ষা করছিল হাওড়া ব্রিজ ও স্টেশন চত্বর সংলগ্ন রাস্তায়। একটি নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন সম্বলিত স্কুটিতে করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিদেশি সোনার বিস্কুট নিয়ে পাচার হতে চলেছে বলে খবর ছিল। খবর পাওয়ার পরই দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে সম্ভাব্য স্থানে অপেক্ষা করেছিল বিশেষ দল। এরপরই তাদের নজরে আসে ডব্লিউ বি ০৮ জে ৫০৯৮ রেজিস্ট্রেশনের স্কুটি। ওই স্কুটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ওই স্কুটি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি বিদেশি সোনার বাঁট উদ্ধার করে তাঁরা। প্রতিটি সোনার বাঁট ১১৬৬ গ্রাম ওজনের। ঘটনায় ওই স্কুটি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরপরই জোড়াসাঁকো এলাকার নলিনী শেঠ রোডে এক বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় তিনজনকে। গত মাসেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হয় ১ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬৬ লক্ষ টাকা। এত বিপুল পরিমাণ সোনা কোথা থেকে আসছে এবং কোথায় পাচার হতে চলেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশ–প্রশাসনকে।
আজই আবার নদিয়ার কানাইখালি বাসস্ট্যান্ডে এক ব্যক্তির কাছ থেকে আনুমানিক ৯৩ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার ১৫টি বিস্কুট উদ্ধার করেছে শুল্ক দফতর ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোথা থেকে এই সোনার বাঁট নিয়ে আসছিল এবং কোথায় পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছে আধিকারিকরা। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের কেউ জড়িত আছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।