বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Gold Recovered: রাজধানী এক্সপ্রেসে সোনা পাচারের ছক বানচাল, বর্ধমানে উদ্ধার কোটি টাকার সোনা

Gold Recovered: রাজধানী এক্সপ্রেসে সোনা পাচারের ছক বানচাল, বর্ধমানে উদ্ধার কোটি টাকার সোনা

মোট দু’‌জনকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা–সহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিমানবন্দরে এতদিন সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ছিল পাচারকারীরা। তাই বিকল্প পথ হিসাবে রেলকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এই খবর আগে থেকে পেয়ে রেল পথে চোরাচালান আটকাতে ‘অপারেশন সতর্ক’ দল গঠন করা হয়। সেখানে আরপিএফ বর্ধমান শাখা এবং ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের বর্ধমান শাখার অফিসারদের সমন্বয়ে দলটি গড়ে ওঠে।

এবার রাজধানী এক্সপ্রেসে সোনা পাচারের ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু সেটা রেল পুলিশ এবং শুল্ক দফতরের তৎপরতায় সফল হল না। বিপুল পরিমাণ সোনা বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার হল। প্রায় ৩ কেজি সোনার বাট পাচারের ছক করা হয়েছিল। শিয়ালদা–অমৃতসর এক্সপ্রেস এবং হাওড়া–নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালাতেই সবটা ধরা পড়ে গিয়েছে। শুল্ক দফতর ও আরপিএফের যৌথ অভিযানে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দুই যুবকের থেকে তিনটি সোনার বাট উদ্ধার হয়।

ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমান স্টেশনে?‌ রেল পুলিশ সূত্রে খবর, এই সোনার বাজার–মূল্য ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। মোট দু’‌জনকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা–সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সূত্তে আগেই সোনা পাচারের খবর ছিল। তাই আপ শিয়ালদা–অমৃতসর এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে এসে পৌঁছতেই তল্লাশি শুরু করা হয়। তখন এক যুবকের কাছ থেকে এক কেজি সোনা উদ্ধার হয়। তারপর তাকে জেরা করে বর্ধমান স্টেশনেই আপ হাওড়া–নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে দু’‌কেজি ওজনের সোনার বাট উদ্ধার করা হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বিমানবন্দরে এতদিন সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ছিল পাচারকারীরা। তাই বিকল্প পথ হিসাবে রেলকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এই খবর আগে থেকে পেয়ে রেল পথে চোরাচালান আটকাতে ‘অপারেশন সতর্ক’ দল গঠন করা হয়। সেখানে আরপিএফ বর্ধমান শাখা এবং ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের বর্ধমান শাখার অফিসারদের সমন্বয়ে দলটি গড়ে ওঠে। এই দল তল্লাশি অভিযান করতে পারবে বলে ঠিক হয়। তাঁরাই আগাম খবর পেয়ে এই সোনা পাচারের ছক বানচাল করে দিল।

বিপুল পরিমাণ সোনা কেন আনা হচ্ছিল?‌ সূত্রের খবর, এগুলি চোরাই সোনা। রেল পথে এসে বর্ধমান থেকে সড়কপথ ধরার পরিকল্পনা ছিল। তাহলে কেউ ধরতে পারবে না পরিকল্পনা করেই পাচারের ছক করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ধমান স্টেশনেই ধরা পড়ে গেল পাচারকারীরা। একজন পাচারকারীর ব্যাকপ্যাক থেকে প্রায় এক কেজি ওজনের সোনার বাট উদ্ধার করা হয়। আর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর পাচারকারীর কোমরে কাপড়ের তৈরি বেল্টে প্রায় ২ কেজি ওজনের সোনার বাট লুকানো ছিল। কলকাতায় নিয়ে গিয়ে এগুলি অন্য কারও মাধ্যমে বিক্রি করার ছক ছিল।

বন্ধ করুন