রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল। তাও কিনা দিল্লিতে। কিন্তু দু'বছরও হুমায়ুন কবীরকে দলে রাখতে পারল না বিজেপি। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।
ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, আগামিকাল দুপুরে বহরমপুরের জেলা দফতরে হুমায়ুনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেবেন হুমায়ুনের কয়েকজন অনুগামীও। হুমায়ুনের বক্তব্য, ‘তৃণমূল ছেড়ে ভুল করেছিলাম। যতদিন রাজনীতি করব, ততদিন দিদিই (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমার নেত্রী।’
তবে ‘জার্সি’ বদল হুমায়ুনের কাছে একেবারেই নতুন নয়। বরং একদা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর ডান হাত হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন কংগ্রেসের টিকিটে জিতে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। ২০১১ সালে রেজিননগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও হাতের টিকিটেই জিতেছিলেন। কিন্তু এক বছর কাটার আগেই অধীরের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ২০১২ সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মন্ত্রিত্বের পুরস্কারও মিলেছিল।
কিন্তু মুর্শিদাবাদের পরিদর্শক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিবাদের জেরে ২০১৫ সালে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল হুমায়ুনকে। পরের বছর বিধানসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছিলেন। পরের কয়েক মাস পরে সেপ্টেম্বরে অধীরের ডাকে সাড়া দিয়ে আবারও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটও করিয়েছিলেন নিজের হাতে। আবার সেই বছরই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হুমায়ুন। গত বছর লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। তারইমধ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধের হচ্ছিল হুমায়ুনের। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গত্যাগ নিয়ে জল্পনা হচ্ছিল। অবশেষে আগামিকাল সরকারিভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন হুমায়ুন।