এমনিতেই তাঁর একের পর এক মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল। ফের দলীয় নেতাদের উদ্দেশে 'হুমকি' দিয়ে দলকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেললেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
মুর্শিদাবাদের সালোরে একটি বিজয়া সম্মিলনীর সভায় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই ভরতপুরে দলের পুরনো নেতাদের সরিয়ে ৭৫ শতাংশ নতুন নেতাদের বসানো হবে।এই কাজে কেউ তাঁকে বাধা দিতে এলে তাঁকে ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন হুমায়ুন। সেই সভায় তিনি বলেন,'যাঁরা আমাদের চেয়ারম্যান, প্রেসিডেন্ট- অন্য জায়গা আলোকিত করে বড় বড় কথা বলছেন আর তাঁদের মদতে যাঁরা আমাকে বড় বড় চ্যালেঞ্জ করছেন, তোমাকে (মুস্তাফিজুর রহমান) বলছি , তোমার গুরুর কাছে একবার ভালো করে খোঁজ নিও। বহরমপুরে একটা তাড়া যেদিন মারব না, সেদিন তোমার গুরুও যাবে, তুমিও যাবে, আর সেও যাবে। আমাদের সঙ্গে বেশি পাঙ্গা নেবে না ভাই।' তারই এই বক্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল।
জেলা নেতৃত্বের তরফে এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এটা শোনার পর হুমায়ুন বলেন, ' আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। আমি সোজা ব্যাটে খেলা পছন্দ করি। তার জন্য আমি সবার কাছে অপ্রিয় হই।' প্রসঙ্গক্রমে তিনি অধীর চৌধুরী সঙ্গী হিসাবে তাঁর ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন,' আমি অধীর চৌধুরীর কাছে ছিলাম । ২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রথম একাদশের সদস্য ছিলাম৷ অধীর চৌধুরীর কিচেন রুমের সদস্য ছিলাম। আর আজকে যাঁরা আমাদের ঘাড়ের-মাথার চুল চেপে ধরে নাচছে তাঁরা সেদিনকে তৃতীয় বেঞ্চে বসত।'
হুমায়ুনের এই আগ্রাসী ভূমিকা প্রসঙ্গে দলের একাংশের ব্যাখ্যা, নানা কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে বিধায়ক। তাই এই ধরনের 'গরম কথা' বলে দলের একাংশকে নিজের পক্ষে টানতে চাইছেন।